রবিবার, ২১ জুলাই, ২০১৯ ০০:০০ টা

উদ্বোধনের আগেই দেবে যাচ্ছে দুই পাশ

ঢাকা-টাঙ্গাইল চার লেন মহাসড়ক

টাঙ্গাইল প্রতিনিধি

উদ্বোধনের আগেই দেবে যাচ্ছে দুই পাশ

ঢাকা-টাঙ্গাইল-বঙ্গবন্ধু সেতু ৭০ কিলোমিটার চার লেন মহাসড়কটি উদ্বোধনের আগেই কিছু এলাকায় দেবে যেতে শুরু করেছে। কোথাও সড়কের মাঝখানে বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। ফলে এ মহাসড়কে চলাচল বিভিন্ন যানবাহনের চালক ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। দেবে যাওয়া অংশের সঙ্গে বাকি অংশ মেলাতে গিয়ে উচু স্থান কেটে ফেলছে কর্তৃপক্ষ। টাঙ্গাইল সড়ক ও জনপথ (সওজ) বিভাগ সূত্র জানায়, সাড়ে পাঁচ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে জয়দেবপুর-চন্দ্রা-টাঙ্গাইল-এলেঙ্গা মহাসড়কটি নির্মাণ করা হচ্ছে। ৭০ কিলোমিটার দীর্ঘ এ সড়কের প্রতি কিলোমিটারের নির্মাণ ব্যয় ধরা হয়েছে ৫৮ কোটি টাকারও বেশি। চার লেনের এ মহাসড়ক আগামী বছরের জুনের মধ্যে উদ্বোধন হওয়ার কথা। গত ১২ জুলাই সরেজমিন মহাসড়কে গিয়ে দেখা যায়, কালিহাতী উপজেলার এলেঙ্গা বাসস্ট্যান্ডের পর থেকে ঢাকার দিকে (ডান পাশে) প্রায় পাঁচ কিলোমিটার সড়ক দেবে গেছে। এছাড়া সদর উপজেলার রসুলপুর সিএনজি পাম্পের সামনে কয়েকটি স্থানে গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। এছাড়া দেবে গেছে উত্তর বঙ্গের দিকে (ডান পাশে) এলেঙ্গা বাসস্ট্যান্ড পর্যন্ত চার লেনের কোথাও কোথাও। দেবে যাওয়া কয়েকটি স্থানে নতুন করে কার্পেটিং করে মেরামতও করা হয়েছে। সড়ক দেবে যাওয়ার এ সমস্যাকে প্রকৌশলীদের ভাষায় বলা হয় ‘রাটিং’। সওজের অধিদফতরের আওতাধীন প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ কেন্দ্রীয় সড়ক গবেষণাগারের প্রকৌশলীরা বলছেন, পিচের জন্য পাথর-বিটুমিনের যে মিশ্রণ তৈরি করা হয়, সেটি ঠিকমতো না হলে রাটিং বা সড়ক দেবে যেতে পারে। সড়ক দেবে যাওয়ার আরেকটি কারণ যানবাহনের ‘ওভারলোড’। এর বাইরে দুর্বল নকশা বা দুর্বল নির্মাণকাজের কারণেও সড়ক দেবে যেতে পারে বলে জানিয়েছেন তারা। এছাড়া মাটির ধাপগুলোতে ঠিকমতো রোলিংয়ের কাজ না করা হলেও ‘রাটিং’ দেখা দিতে পারে। চার লেন প্রকল্পের ব্যবস্থাপক অমিত দেবনাথ জানান, মহাসড়কে যে সব স্থানে দেবে গেছে সে স্থানগুলো থেকে কার্পেটিং উঠিয়ে আবার নতুন করে করা হবে। আর মহাড়কে কোনো নিম্ন মানের কাজ হয়নি। দেবে যাওয়াটা অভারলোড গাড়ি এবং গাড়িগুলো একপাশ দিয়ে চলাচলের কারণেই হয়েছে।

সর্বশেষ খবর