মঙ্গলবার, ২৩ জুলাই, ২০১৯ ০০:০০ টা
ছেলেধরা গুজব

স্কুলে কমেছে শিক্ষার্থী

নওগাঁ প্রতিনিধি

ছেলেধরা গুজবে শিক্ষার্থী উপস্থিতি কমেছে নওগাঁর প্রাথমিক স্তরের অধিকাংশ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে। ছেলে-মেয়েদের স্কুলে পাঠাতে ভয় পাচ্ছেন অভিভাবকরাও।

জানা যায়, পদ্মা সেতুতে মাথা লাগছে এমন গুজব সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ে। ম্যাসেঞ্জারে শিশুদের সাবধানে রাখার জন্য পরামর্শমূলক বার্তাও পাঠানো হয়। ফলে গুজবটি দ্রুত সারা দেশে ছড়িয়ে পড়ে। গুজব এখন আতঙ্কে রূপ নিয়েছে। ভয়ে অনেক বাবা-মা সন্তানদের স্কুলে যাওয়া বন্ধ করে দিয়েছে। অপরদিকে শ্রমজীবী মানুষ অন্যত্র যেতে ভয় পাচ্ছেন। তাদের মধ্যে দেখা দিয়েছে অপরিচিত হওয়ায় ভুল বুঝে গণপিটুনি আতঙ্ক। বদলগাছী উপজেলার চাংলা প্রাথমিক বিদ্যালয়ে গতকাল গিয়ে জানা যায়, এখানে শিশু থেকে পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত শিক্ষার্থী সংখ্যা ১০৪ জন। গত এক সপ্তাহে ছেলেধরা গুজবে উপস্থিতি ৭০ শতাংশ কমে গেছে। এ ছাড়া সদর উপজেলার কীত্তিপুর-১ প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ১১০ জন শিক্ষার্থী থাকলেও উপস্থিত ছিল ৮০ জন। সাপাহারের মুংরইল বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীর সংখ্যা ১৫০ জন। ছেলেধরা গুজবে এ বিদ্যালয়ে এখন উপস্থিতি সংখ্যা গড়ে ৫০ জন। চাংলা প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ছাত্র শামিম জানায়, পাড়ার লোকজন বাড়িতে গিয়ে গলা কাটার ভয় দেখিয়েছে। এজন্য বাবা-মা গত তিন দিন স্কুলে আসতে দেয়নি। আমারও ভয় হচ্ছিল। শিক্ষকরা  বোঝানোর পর স্কুলে আসা শুরু করি। ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবদুস সাত্তার বলেন, ‘টেলিভিশন ও পত্রিকায় খবর দেখছি বিভিন্ন জায়গায় ছেলেধরা গুজব।

এতে শিক্ষার্থীরা স্কুলে আসতে ভয় পাচ্ছিল। আমরা অভিভাবক ও শিক্ষার্থীদের বুঝিয়েছি ছেলেধরা একটা গুজব। যা মিথ্যা ও অপপ্রচার। নওগাঁ জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আমিনুল ইসলাম বলেন, ‘ইতিমধ্যে শিক্ষা অফিসারদের সঙ্গে এ নিয়ে আলোচনা হয়েছে। গুজবে কান দেওয়া ঠিক নয়।’ নওগাঁর পুলিশ সুপার ইকবাল হোসেন বলেন, ‘এটা একটা গুজব। এ ধরনের গুজবে কান না দেওয়ার জন্য অনুরোধ করা হচ্ছে।’

সর্বশেষ খবর