নাটোরের বড়াইগ্রামে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদফতরের অধীন দুটি সড়ক সংস্কারে চরম অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। উপজেলার জোয়াড়ী ইউনিয়নের বালিয়া থেকে জোয়াড়ী ও জোয়াড়ী বাজার থেকে নোটাবাড়িয়া কালির ঘুণ পর্যন্ত সড়ক দুটি নিয়ে অভিযোগ পাওয়া গেছে। স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদফতর সূত্রে জানা যায়, গ্রামীণ সড়ক সংস্কার ও পুনর্বাসন প্রকল্পের আওতায় প্রথম সড়কটি ৪৭ লাখ ৭৫ হাজার ৮০৮ এবং দ্বিতীয় সড়কটিতে ৪৪ লাখ ২০ হাজার ৫১৭ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়। সড়কটির ক্ষতস্থানে ইট-বালি দিয়ে সমান করতে হবে। একই সঙ্গে এক নম্বর ইট দিয়ে গোটা সড়ক অন্তত ৩ ইঞ্চি ডব্লিউবিএম করার কথা। সরেজমিন পরিদর্শনে গিয়ে দেখা যায়, ক্ষতস্থানগুলোয় ইট-বালির পরিবর্তে মাটি দিয়ে ভরাট করা হয়েছে। আর ডব্লিউবিএম করা হচ্ছে ইট নামের পোড়ামাটি দিয়ে; যার কোনো নম্বরই নেই। এ সময় জোয়াড়ী বাজারের মনিহারি ব্যবসায়ী শাহিন আলম, স্থানীয় ভ্যানচালক শাহজাহান মিয়া, বালিয়া গ্রামের শাহ আলম, নোটাবাড়িয়া গ্রামের জহুরুল ইসলামসহ অন্তত ১০-১২ জন বলেন, সংস্কারকাজে ইটের বালাই নেই। পোড়ামাটি দিয়ে রং করা হচ্ছে। গর্ত ভরাট করছে মাটি দিয়ে। প্রথমেই যদি এ অবস্থা হয় পরে কার্পেটিং তো কালো রং দিয়ে শেষ হবে। এখনই এর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নিলে সংস্কারের গোটা টাকাই জলে যাবে। এ বিষয়ে জানতে চাইলে সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মেসার্স মেহেদী কনস্ট্রাকশনের স্বত্বাধিকারী নুরুল ইসলাম বলেন, ‘কাজ শিডিউল মোতাবেক হচ্ছে। এ বিষয়ে সাংবাদিকদের নাক না গলালেও চলবে।’
কাজ তদারকির দায়িত্বে থাকা উপজেলা প্রকৌশল দফতরের কর্মকর্তা আরিফুল ইসলামের সঙ্গে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, ‘এ বিষয়ে রিপোর্ট করার দরকার নেই। আমি ঠিকাদারের সঙ্গে আপনাদের মিট করিয়ে দিচ্ছি।’
উপজেলা প্রকৌশলী (অতিরিক্ত দায়িত্ব) আক্কাস আলী বলেন, ‘বিষয়টি আমার নজরে আসেনি। তবে এক্ষুনি সংশ্লিষ্ট উপসহকারী প্রকৌশলীকে খোঁজ নিয়ে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিচ্ছি।’ তিনি আরও জানান, নির্বাহী প্রকৌশলী পদে তিনি পদোন্নতি পেয়েছেন, পাবনায় যোগদানের অপেক্ষায় রয়েছেন।