নেত্রকোনার কেন্দুয়া উপজেলায় এক ইউপি সদস্যের স্ত্রীর নামে ভিজিডি ও মাতৃত্বকালীন ভাতার কার্ড করে দেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার মাসকা ইউনিয়নে। উপজেলা মহিলাবিষয়ক অফিসসূত্রে গতকাল এ তথ্য নিশ্চিত হওয়া গেছে।
উপজেলা মহিলাবিষয়ক কর্মকর্তা (অতিরিক্ত দায়িত্ব) আব্দুর রৌফ সরকার জানান, কোনো অবস্থায়ই এক ব্যক্তি দুটি কার্ড পাওয়ার বিধান নেই। এছাড়া একজন ইউপি সদস্যের স্ত্রী হিসাবে ওই নারী কোনো কার্ডই পাওয়ার কথা না। অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কেন্দুয়া উপজেলা ভিজিডি কর্মসূচি বাস্তবায়ন কমিটির সভাপতি ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা-ইউএনও আল-ইমরান রুহুল ইসলাম জানান, বিষয়টি খোঁজ নিয়ে দেখা হচ্ছে।
জানা যায়, মাসকা ইউনিয়ন পরিষদের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য শফিকুল ইসলাম। তিনি তার স্ত্রী মোর্শেদা আক্তার নিলুফাকে ভিজিডি (২০১৯-২০২০ অর্থবছর) কার্ডধারী হিসাবে তালিকাভুক্ত করান। একই অর্থবছরে ওই ইউপি সদস্যের স্ত্রী নিলুফা মাতৃত্বকালীন ভাতারও আওতাভুক্ত হন। এ ব্যাপারে জানতে শফিকুল ইসলামের মোবাইল ফোনে বারবার চেষ্টা করেও তার সঙ্গে কথা বলা সম্ভব হয়নি। মাসকা ইউপি চেয়ারম্যান একেএম মোস্তাফিজুর রহমান জানান, মোর্শেদা আক্তার নিলুফার নামে ভিজিডি ও মাতৃত্বকালীন কার্ড হওয়ার বিষয়টি আমার জানা ছিলনা। তার নামে কোনো কার্ড থাকার নিয়ম থাকলে থাকবে। আর তা না হলে দুটি কার্ডই বাতিল করা হবে।
