প্রতিদিনই মাদারীপুর শহরের কোথাও না কোথাও ঘটছে ছিনতাইয়ের ঘটনা। জেলাবাসীর মধ্যে বিরাজ করছে ছিনতাই আতঙ্ক। সন্ধ্যার পর মানুষ বাসার বাইরে বের হতে ভয় পান। শহরে একের পর এক ছিনতাই হলেও প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে ক্ষুব্ধ সাধারণ নাগরিক।
জানা যায়, সম্প্রতি দিনদুপুরে শহরের লেকেরপাড় এলাকা থেকে ডিবি পুলিশ পরিচয়ে লিমন হোসেন নামে এক ব্যবসায়ীর মোটরসাইকেল, নগদ টাকা ও মোবাইল ছিনতাই করে নিয়ে যায়। এই ঘটনায় ডিবি পুলিশের সম্পৃক্ততার কথা অস্বীকার করেছেন মাদারীপুর গোয়েন্দা পুলিশের ওসি আবু নাইম। এছাড়া অস্ত্রের মুখে ডা. একরাম হোসেন নামে একজনের নগদ টাকা ছিনিয়ে নেয় দুর্বৃত্তরা। গত সপ্তাহে অসিম নামে এক ব্যক্তি তার সন্তানসম্ভবা স্ত্রীকে নিয়ে হাসপাতালে যাওয়ার পথে ছিনতাইকারীদের কবলে পড়েন। তারা অস্ত্র ঠেকিয়ে অসিমের কাছে থাকা ২০ হাজার টাকা ছিনতাই করে। ওই দিনই আরও ৫টি ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটেছে। শহরের ডিসি ব্রিজ এলাকায় এক যুবককে ছুরিকাঘাতে হত্যা করা হয়।
লাশের পাশে পড়েছিল তার ব্যবহৃত ব্যাগ। ব্যাগটি এলোমেলো অবস্থায় ছিল। ধারণা করা হচ্ছে ছিনতাইতারীদের ছুরিকাঘাতেই নিহত হয়েছেন ওই যুবক। যদিও পুলিশ এই হত্যার কূলকিনারা করতে পারেনি। এদিকে উপজেলার স্বনির্ভর বাজার থেকে বাড়ি যাওয়ার পথে ব্যবসায়ী সোহাগ বেপারীকে অস্ত্র ঠেকিয়ে নগদ প্রায় ৬ লাখ টাকা ও চারটি মোবাইল নিয়ে যায়। টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানালে সোহাগকে কুপিয়ে জখম করে ছিনতাইকারীরা। ঘটনার সময় তার চিৎকারে স্থানীয়রা রিয়াজুল ইসলাম ইবু নামে একজনকে আটক করে। ইবু ছিনতাইয়ের কথা স্বীকার করেছে। এই ঘটনায় মাদারীপুর সদর থানায় ১৯ জুলাই মামলা হলেও ছিনতাইয়ের মূলহোতা সাগর গ্রেফতার হয়নি।মাদারীপুর পৌর যুবলীগের সভাপতি কামাল হোসেন বলেন, ‘মাদারীপুর শহরে প্রায়ই ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটছে। আমার এক আত্মীয়কে কুপিয়ে টাকা নিয়ে গেছে। আমরা পুলিশের জোড়ালো ভূমিকা কামনা করছি।
মাদারীপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বদরুল আলম মোল্লা বলেন, ‘এ সব ঘটনা প্রতিহত করার জন্য পুলিশ তৎপর রয়েছে। ছিনতাইকারীদের গ্রেফতারে পুলিশ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।