শনিবার, ৩ আগস্ট, ২০১৯ ০০:০০ টা

কৃষকের বদলে তালিকায় ঠিকাদার রাজনীতিক

কিশোরগঞ্জে সরকারি গুদামে ধান বিক্রি

কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি

কিশোরগঞ্জের হোসেনপুরে সরকারি খাদ্য গুদামে প্রকৃত কৃষকরা ধান বিক্রি করতে পারছেন না বলে অভিযোগ উঠেছে। প্রভাবশালীদের ধান ক্রয় করা হলেও আর্দ্রতা ও ধুলবালি থাকার অজুহাতে কর্মকর্তারা সাধারণ কৃষকের ধান ফিরিয়ে দিচ্ছেন। কৃষকদের তালিকা তৈরিতেও আছে অনিয়মের অভিযোগ। হোসেনপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তার নির্দেশে উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তারা একটি পৌরসভা ও ছয় ইউনিয়নের ৮৩৫ জন কৃষকের তালিকা তৈরি করেন। জানা যায়, পৌরসভার কৃষকের নামের তালিকায় রয়েছে রাজনৈতিক নেতা, ব্যবসায়ী, ঠিকাদার ও জনপ্রতিনিধি।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, ২২ মে হোসেনপুর উপজেলায় ধান-চাল সংগ্রহ কমিটির সভায় কৃষকদের কাছ থেকে সরাসরি ২২৮ মেট্রিক টন ধান ক্রয়ের সিদ্ধান্ত হয়। ২৫ মে থেকে ৩১ আগস্ট পর্যন্ত চলবে ক্রয় অভিযান। ধুলজুরি গ্রামের কৃষক এবিএম অহিদুল্লাহ অভিযোগ করেন, আড়াইবাড়িয়া ইউনিয়নের কৃষকদের তালিকার প্রথম নামটিই তার। অথচ দুই বার ধান বিক্রির জন্য খাদ্য গুদামে গেলেও গুদাম রক্ষক তার ধান নেননি। উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা ছোট চাকরি করি। কিছু চাপ মেনেই আমাদের কাজ করতে হয়।’ খাদ্য গুদামের গুদাম রক্ষক নাজমুন নাহার বলেন, ‘কৃষি কর্মকর্তারা যে তালিকা দিয়েছেন এবং যাদের কৃষি কার্ড রয়েছে-এমন কৃষকদের কাছ থেকেই ধান ক্রয় করা হচ্ছে।’ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ইমরুল কায়েস বলেন, বিভিন্ন এলাকায় মাইকিং করা হয়েছে। মাইকিংয়ের পর কৃষিকার্ডধারী যেসব কৃষক কৃষি অফিসে এসেছেন, শুধু তাদের নাম তালিকাভুক্ত করা হয়েছে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) কমল কুমার ঘোষ বলেন, ‘যে পরিমাণ ধান সংগ্রহ করার কথা তার চেয়ে কৃষকের চাহিদা অনেক বেশি। দ্বিতীয় পর্যায়ে আরও বরাদ্দ এসেছে। আগের বাদ যাওয়া কৃষকদের এ তালিকায় অগ্রাধিকার দেওয়া হবে।’

সর্বশেষ খবর