রবিবার, ৪ আগস্ট, ২০১৯ ০০:০০ টা

কর্তৃপক্ষের স্বেচ্ছাচারিতায় অসহায় কমকর্তা-কর্মচারী

মেহেরপুর ডিবিএস

মেহেরপুর প্রতিনিধি

মেহেরপুর দারিদ্র্য বিমোচন সংস্থার (ডিবিএস) বিরুদ্ধে নানা অনিয়মের অভিযোগ ওঠেছে। কথায় কথায় কর্মকর্তা-কর্মচারীর বেতন কাটা, জামানতের টাকা ফেরত না দেওয়া, উচ্চ বেতনের কর্মী বাদ দেওয়াসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের স্বেচ্ছাচারিতায় অসহায় হয়ে পড়েছেন সংস্থার কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। এ বিষয়ে ডিবিএসের কয়েক কর্মকর্তা মাইক্রোক্রেডিট রেগুলেটরি অথরেটি, পল্লী কর্ম সহায়ক ফাউন্ডেশনের মহাব্যবস্থাপক, দুর্নীতি দমন কমিশন ও মেহেরপুর মানবাধিকার কমিশনে লিখিত অভিযোগ দিলেও ফল হয়নি।

ডিবিএসের একাধিক কর্মকর্তা-কর্মচারী জানান, মেহেরপুর জেলায় দারিদ্র্য বিমোচন সংস্থার পরিচালক আবু জাফর এবং সমন্বয়কারী জালাল উদ্দীন আপন ভাই। নিজেদের খেয়ালখুশি মতো সংস্থা পরিচালনা করছেন তারা। এমআরএ সনদের ১২ (৫) ধারায় ক্ষুদ্র ঋণ প্রতিষ্ঠানের একটি চাকরি নীতিমালা থাকবে। এই নীতিমালায় সংস্থার কর্মকতা-কর্মচারীদের চাকরিতে যোগদান, বরখাস্ত, ইস্তফা পদ্ধতিসহ সব বিষয় উল্লেখ থাকবে। কিন্তু এখানে কোনো নীতিমালা স্টাফদের দেওয়া হয় না বা জানানো হয় না বলে অভিযোগ আছে। পরিচালক এবং সমন্বয়কারীর ইচ্ছায় হয় নিয়োগ ও বরখাস্ত। জানা যায়, এমআরএ সনদ মতে ভাই-বোন, স্ত্রী-স্বামী ও  সহোদর ভাই অথবা বোন একই প্রতিষ্ঠানের ব্যাংক হিসাবের যৌথ পরিচালনাকারী হতে পারবেন না। অথচ দারিদ্র্য বিমোচন সংস্থার সব ব্যাংক হিসাব সহোদর দুই ভাইয়ের স্বাক্ষরে পরিচালিত হয়। এ বিষয়ে সংস্থার পরিচালক আবু জাফর বলেন, ‘আমি হজে যাচ্ছি। হজ থেকে ফিরলে অফিসে আসেন এ বিষয়ে কথা হবে।’ সমন্বয়কারী জালাল উদ্দীন বলেন- ‘এসব অভিযোগ সঠিক নয়। যারা অভিযোগ করেছেন তারা ভুল অভিযোগ করেছেন। খোঁজ নিলে বিস্তারিত জানতে পারবেন।’ অভিযোগকারীদের দাবি, উচ্চ পর্যায়ের তদন্ত কমিটি গঠন করে এসব অনিয়মের তদন্ত করলেই সব বেরিয়ে আসবে।

সর্বশেষ খবর