বৃহস্পতিবার, ৮ আগস্ট, ২০১৯ ০০:০০ টা

ঝুঁকি নিয়ে পদ্মা-মেঘনা পার

একমাত্র বাহন ইঞ্জিনচালিত নৌকা ভুক্তভোগী হাজার হাজার মানুষ

চাঁদপুর প্রতিনিধি

চাঁদপুর সদর, মতলব উত্তর, মতলব দক্ষিণ ও হাইমচর উপজেলা মেঘনা নদীর উপকূলবর্তী এলাকা। এই চার উপজেলায় রয়েছে প্রায় ৪০টি চরাঞ্চল। এ সব চরের মানুষের দৈনন্দিন কাজ বা চিকিৎসার জন্য যেতে হয় জেলা সদরে। সদরের সঙ্গে তাদের যোগাযোগের একমাত্র বাহন ইঞ্জিনচালিত নৌকা। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে শিশু, নারী-পুরুষ ইঞ্জিনচালিত নৌকায় পাড়ি দিচ্ছেন পদ্মা-মেঘনা। বর্ষা মৌসুম কিংবা প্রাকৃতিক দুর্যোগের সময় ঝুঁকি আরও বেড়ে যায়। এছাড়া শিক্ষা, স্বাস্থ্য, বাণিজ্যের সঙ্গে যুক্ত বহু মানুষ শহর থেকে একইভাবে পশ্চিম পাড় যাচ্ছেন নিয়মিত। চাঁদপুর জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে নদী পারাপারের কাজে নিয়োজিত ট্রলারে লাইফ জ্যাকেট দিলেও এখন তা ট্রলারগুলোতে চোখে পড়েনা। বর্ষায় উত্তাল নদীতে যেকোন সময় দুর্ঘটনার শিকার হতে পারে যাত্রীবাহী ট্রলারগুলো। চাঁদপুর পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) জানায়, জেলায় মেঘনা নদীর সীমানা ৩৬০ দশমিক ১১ কিলোমিটার। পদ্মা-মেঘনা ও ডাকাতিয়া এই তিন নদীর সংযোগস্থল মোলহেড। নদীগুলো তিন দিক থেকে এসে মিশে যাওয়ায় এখানে বিশাল ঘূর্নাবর্তের সৃষ্টি হয়। এই ঘূর্নাবর্ত এলাকা দিয়ে জাহাজ চলাচলও ঝুঁকিপূর্ণ। স্থানটিকে সরকারিভাবে ঝুঁকিপূর্ণ নৌপথ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। অথচ এখান দিয়ে প্রতিদিন চরাঞ্চলের বহু যাত্রী ট্রলারে পদ্মা-মেঘনা পার হচ্ছে। সদর উপজেলার (মেঘনার পশ্চিম পাড়) রাজরাজেশ্বর ইউপি চেয়ারম্যান হযরত আলী জানান, বর্ষাকাল ছাড়াও সব মৌসুমেই চরাঞ্চলের মানুষ ট্রলারেই যাতায়াত করে থাকে।    ঝুঁকিপূর্ণ জেনেও তাদের কিছু করার থাকেনা। কারণ জেলা সদরের সঙ্গে যোগাযোগের জন্য এ সব চরের বাসিন্দাদের বিকল্প কোনো মাধ্যম নেই। দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ায়  অনেক সময় যাত্রী ও মালামালসহ ট্রলার ডুবে যায়। এ পর্যন্ত নদীতে ডুবে বহু যাত্রী প্রাণ হারিয়েছেন। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন ব্যবসায়ীরা।

সর্বশেষ খবর