চুয়াডাঙ্গায় জমে উঠতে শুরু করেছে পশুর হাটগুলো। জেলার ৮টি পশুর হাট ক্রেতা-বিক্রেতার ভিড়ে মুখরিত হয়ে উঠেছে। মুসলমান ধর্মাবলম্বীরা ভিড় করছেন হাটগুলোতে। পছন্দের পশু কিনতে ক্রেতারা ছুটছেন হাট থেকে হাটে। তবে এ বছর পশুর দাম নিয়ে খামারি ও ক্রেতারা পাল্টাপাল্টি অভিযোগ করছেন। চুয়াডাঙ্গা প্রাণিসম্পদ অধিদফতর সূত্রে জানা গেছে, চুয়াডাঙ্গা জেলায় পশুর খামার রয়েছে সাত হাজার ৬২৫টি। জেলায় এ বছর কোরবানির পশুর চাহিদা রয়েছে প্রায় এক লাখ। এর বিপরীতে ৩৭ হাজার ৩৭৪টি গরু-মহিষ, এক লাখ ৫ হাজার ৭৯টি ছাগল এবং ৮০৬টি ভেড়া প্রস্তুত করেছেন খামারিরা। খামারিরা বলছেন, এবার গরুর যে বাজারদর তাতে খামারিরা খুব বেশি লাভবান হতে পারবেন না। গো-খাদ্যের দাম বৃদ্ধিসহ গরু লালন-পালনের খরচ বেড়ে যাওয়ায় এ আশঙ্কা তাদের। অন্যদিকে ক্রেতারা অভিযোগ করছেন, কোরবানির পশুর দাম অনেকটাই নাগালের বাইরে।
জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো. গোলাম মোস্তফা জানান, চুয়াডাঙ্গায় যে পরিমাণ কোরবানির পশু রয়েছে তাতে জেলার চাহিদা মিটিয়েও এসব পশু অন্য জেলার চাহিদা পূরণ করবে। তবে শেষ পর্যন্ত পাশের দেশ থেকে যদি গরু না আসে তবে খামারিরা লাভবান হবে।