ভারি বর্ষণে পানিবন্দী হয়ে পড়েছে লক্ষ্মীপুরে পৌর এলাকার দুই শতাধিক পরিবার। জলাবদ্ধতার কারণে শহরের কয়েকটি সড়কে যান চলাচলে বিঘ্ন ঘটছে। ভোগান্তির শিকার হচ্ছে পৌরবাসী। পানিবাহিত রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা করছেন তারা। অপরিকল্পিত ড্রেনেজ, পুকুর ভরাট ও পানি নিষ্কাশনে বাধার কারণে এমন পরিস্থিতি বলে মনে করছেন সচেতনরা।
সরেজমিন গত বুধবার লক্ষ্মীপুর পৌরসভার বাগবাড়ি, সমসেরাবাদ, লামছরী, বাঞ্চানগর এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, বাসা-বাড়ির সামনে হাঁটু পানি। জরুরি কাজ ছাড়া ঘরের বাইরে বের হচ্ছেন না এসব এলাকার বাসিন্দারা। পানিবন্দী হয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছেন তারা।
এছাড়া বৃষ্টির পানিতে তলিয়ে গেছে শহরের শেখ রাসেল সড়ক, গরু হাট, মিয়া বাড়ী সড়কসহ বিভিন্ন সড়ক। এসব সড়কে যান চলাচল ব্যাহত হচ্ছে। পথচারীদের ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করতে হচ্ছে। সড়কের পাশে যেসব ড্রেন রয়েছে তা দিয়ে পানি নিষ্কাশন হচ্ছে না। কোথাও রাস্তার উপর জমে পানি। ভুক্তভোগী অনেকে অভিযোগ করেন, ড্রেনেজ ব্যবস্থার নামে কোটি কোটি টাকার কাজ করা হচ্ছে পৌরসভায়। কিন্তু তা জলাবদ্ধতা নিরসনে তেমন কাজে আসছে না।লক্ষ্মীপুর পৌরসভার ভারপ্রাপ্ত মেয়র কামাল উদ্দিন খোকন জানান, ‘পুকুর ভরাট করে স্থাপনা নির্মাণ সরকারিভাবে অবৈধ হলেও তা অনেকে মানছে না। কোথাও ব্যক্তিগত দ্বন্দ্বে পানি আটকিয়ে রাখা হচ্ছে।’ এছাড়া পৌরসভায় পর্যাপ্ত ড্রেনেজ ব্যবস্থার অভাব আর খালের পানির প্রবাহ কম থাকায় জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হচ্ছে বলে জানান তিনি।
