রবিবার, ১৮ আগস্ট, ২০১৯ ০০:০০ টা

মৃত্যুঝুঁকি নিয়ে কর্মে ফিরছে মানুষ

নিজস্ব প্রতিবেদক, বগুড়া

মৃত্যুঝুঁকি নিয়ে কর্মে ফিরছে মানুষ

বগুড়া থেকে ট্রাকে করে ঢাকা ফিরছেন কর্মজীবী মানুষ -বাংলাদেশ প্রতিদিন

বগুড়া থেকে ঢাকায় কর্মস্থলে ফেরার যাত্রীবাহী বাস সংকট দেখা দিয়েছে। তাই কর্মজীবী মানুষ ট্রাকে, বাস ও ট্রেনের ছাদে করে ভোগান্তি নিয়েই ফিরে যাচ্ছেন।

বগুড়ার বিভিন্ন বাসস্ট্যান্ডে গিয়ে দেখা যায়, পরিবহন শ্রমিকরা ইচ্ছামতো বাসের টিকিট বিক্রি করছেন। কথা বলতে গেলেই তারা যাত্রীদের সঙ্গে অশোভন আচরণ করছে। কোনো কোনো শ্রমিক আন্দোলনের হুমকি দিচ্ছে।

বেশ কিছু লোকাল বাস ঢাকাগামি যাত্রী বহন করছে। এই বাসগুলোতে সিটপ্রতি ভাড়া ৭০০ থেকে ১ হাজার টাকা করে নিচ্ছে। বাসের ফিটনেস না থাকলেও কিছু শ্রমিক অতি মুনাফার লোভে লক্করঝক্কর মার্কা বাস দিয়ে যাত্রী পরিবহন করছে দিগুণ ভাড়ায়। বগুড়া থেকে ঢাকার গাবতলী পর্যন্ত ছাদে ৩০০, ভিতরে ৭০০, দাঁড়িয়ে বা ভেতরে কাঠের বেঞ্চে ৫০০ টাকা টিকিট নেওয়া হচ্ছে। বাস কাউন্টারগুলোর কর্মকর্তারা বলছেন আগামী ২৫ আগস্ট পর্যন্ত ঈদের আগাম টিকিট বিক্রি হবে। বগুড়া শহরের বনানী বাসস্ট্যান্ড এলাকায় দেখা যায়, ট্রাকে করে নিম্ন আয়ের মানুষগুলো ৪০০ থেকে ৬০০ টাকা করে ভাড়া দিয়ে ঢাকায় যাচ্ছেন। ট্রাকের মধ্যে রোদ ও বৃষ্টির কারণে ছাতা মাথায় দিয়ে কর্মে ফিরছে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ। ট্রাকের পাটাতনে ত্রিপল দিয়ে যাত্রীদের বসিয়ে দিয়ে উপর দিয়ে দড়ি দিয়ে বেঁধে ঢাকায় নিয়ে যাচ্ছে যাত্রীদের।

ঢাকাগামী ট্রাক চালকের সহকারী আব্দুল মান্নান জানান, ট্রাকের পাটাতনে গাজীপুর চৌরাস্তা, বাইপাইল, আশুলিয়া পর্যন্ত ভাড়া নিচ্ছে জনপ্রতি ৪০০ টাকা।

ঢাকার মিরপুরে গার্মেন্টের শ্রমিক আশরাফুল ইসলাম জানান, বাসের কোন টিকিট পাওয়া যায়নি। লোকাল বাসের টিকিট পাওয়া গেলেও দাম চাওয়া হচ্ছে ৬০০ থেকে ৭০০ টাকা করে। বাসগুলো ফিটনেসের অভাব রয়েছে। টিকিট না পেয়ে ট্রাকে করে ফিরতে হচ্ছে।

বগুড়া জেলা মোটর শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি আব্দুল লতিফ মন্ডল জানান, কোথাও কোনো বাড়তি ভাড়া আদায় করা হচ্ছে না। যাত্রীদের হয়রানি করার কোনো নিয়ম নেই। বগুড়া মোটর মালিক গ্রুপের সভাপতি শাহ আখতারুজ্জামান ডিউক জানান, যাত্রী হয়রানি যেন না হয় সে বিষয়ে নির্দেশনা রয়েছে। ঈদ উপলক্ষে ভাড়া বাড়ানো হয়েছে।

 

সর্বশেষ খবর