মঙ্গলবার, ২০ আগস্ট, ২০১৯ ০০:০০ টা

টাঙ্গাইলে চামড়ার ন্যায্যমূল্য না পেয়ে ব্যবসায়ীরা হতাশ

মো. নাসির উদ্দিন, টাঙ্গাইল

টাঙ্গাইলে চামড়ার ন্যায্যমূল্য না পেয়ে ব্যবসায়ীরা হতাশ

টাঙ্গাইলে কোরবানি পশুর চামড়ার ন্যায্যমূল্য না পেয়ে হতাশ হয়ে পড়েছেন মৌসুমি ও প্রান্তিক ব্যবসায়ীরা। সুদে ও ঋণের টাকায় চামড়া কিনে অর্ধেক দামেও বিক্রি করতে না পেরে তাদের মাথায় হাত। ট্যানারি মালিকরা সিন্ডিকেট করে চামড়ার দাম কমিয়ে দিয়েছেন বলে তাদের অভিযোগ।

রবিবার টাঙ্গাইলের ঘাটাইলে পাকুটিয়ার বৃহৎ চামড়াহাটে গিয়ে দেখা যায়, মৌসুমি ও প্রান্তিক ব্যবসায়ীরা যে দামে মফস্বল থেকে চামড়া কিনেছেন তার অর্ধেকেও বিক্রি করতে পারছেন না। এতে অসহায় হয়ে পড়েছেন তারা। এ হাটে গত বছর কয়েক লাখ চামড়া আমদানি হলেও এবার ৫০ হাজারের কম চামড়া এসেছে। যে পরিমাণ চামড়া এসেছে তাও কেনার মতো ক্রেতা হাটে আসেনি। হাটে টাঙ্গাইলের কালিহাতী উপজেলার বল্লা, নেত্রকোনা, সিরাজগঞ্জ, জামালপুর, কিশোরগঞ্জ থেকে ১০-১২টি কোম্পানির এজেন্ট, ছোটখাটো কয়েকটি ট্যানারির মালিক ও স্থানীয় কয়েকজন ক্রেতা ছাড়া বড় কোনো কোম্পানির মালিক বা এজেন্টের সমাগম ঘটেনি।

চামড়ার বাজারে মন্দাভাবের জন্য খুচরা বিক্রেতারা দুষছেন পাইকারি ব্যবসায়ীদের। আর পাইকারি ব্যবসায়ীরা দুষছেন ট্যানারি মালিকদের। তারা বলছেন, ট্যানারি মালিকরা সিন্ডিকেট করে এ অবস্থার সৃষ্টি করেছেন। ফলে খুচরা ও মৌসুমি ব্যবসায়ীরা সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন।

হাটে আসা ট্যানারি মালিক বা এজেন্টরা জানান, সরকার এ বছর চামড়া কেনার জন্য ব্যাংক লোন ছাড় করেনি। টাকার অভাবে তারা চামড়া কিনতে পারছেন না। সরকার চামড়ার মূল্য নির্ধারণ করে দিয়েছে প্রতি বর্গফুট ৪৫ থেকে ৫০ টাকা। স্থানীয়ভাবে চামড়া কিনতে হবে ২৫ থেকে ৩৫ টাকা বর্গফুট। ওই দামে ফড়িয়ারা চামড়া বিক্রি করছেন না। চামড়া না কেনার কারণ হিসেবে তারা জানান, হাট থেকে কেনা প্রতিটি চামড়ায় আরও অতিরিক্ত ২০০ টাকা খরচ হবে। রয়েছে ট্রান্সপোর্ট, লবণ, শ্রমিকসহ অন্যান্য খরচও। ফলে হাট থেকে কেনা চামড়ার দাম ঢাকায় সরকার নির্ধারিত মূল্যের চেয়ে বেশি পড়বে। ফড়িয়া, খুচরা ও মৌসুমি ব্যবসায়ীরা জানান, গ্রামে গ্রামে ঘুরে বা স্থানীয়ভাবে সংগ্রহ করা প্রতি পিস চামড়ার পেছনে খরচ পড়ছে গড়ে ৫০০ থেকে ৯০০ টাকা। সেখানে মহাজন, ট্যানারি মালিক ও এজেন্টরা দাম বলছেন ৩০০ থেকে ৬০০ টাকা। অনেকেই ২০০ থেকে ৬০০ পিস করে চামড়া নিয়ে হাটে এসেছেন। প্রতি পিস চামড়ায় লাভের পরিবর্তে ২০০ থেকে ৩০০ টাকা ক্ষতি হচ্ছে।

সর্বশেষ খবর