পঞ্চগড় পৌরসভার জ্বালাসী এলাকায় রাস্তার পাশে গড়ে ওঠা ময়লার ভাগার থেকে প্রতিনিয়ত বের হচ্ছে দুর্গন্ধ। দূষণের শিকার হচ্ছে পথচারীসহ সাধারণ মানুষ। নাক-মুখ বন্ধ করে চলাচল করতে হচ্ছে রাস্তায়। জেলা শহরের জ্বালাসি এলাকায় পৌরসভা নিয়ন্ত্রিত ওই ময়লার ভাগাড় থেকে প্রতিনিয়ত দুর্গন্ধ বের হওয়ার কারণে প্রতিদিন কয়েকটি ইউনিয়নের প্রায় ৫০ হাজার পথচারী দূষণের শিকার হচ্ছেন। হাড়িভাষা, চাকলা, কামাত কাজলদীঘি, অমরখানা, হাফিজাবাদ, কালিয়াগঞ্জ ইউনিয়নসহ আরও বেশ কয়েকটি ইউনিয়নের সাধারণ মানুষের পঞ্চগড় শহরের সঙ্গে যোগাযোগের একমাত্র এই রাস্তার পাশেই ময়লার ভাগাড়টি গড়ে উঠেছে। প্রতিদিন পৌরসভার ময়লা-আবর্জনা ফেলা হয় এখানে। এ ছাড়া মৃত গরু, ছাগলসহ অন্যান্য প্রাণীর মৃতদেহও ফেলা হয় এই ভাগাড়ে। কিন্তু দুর্গন্ধ নিষ্কাশনের ব্যবস্থা করা হয়নি। বর্জ্য ফেলার পরিবেশবান্ধব কোনো পদ্ধতিও অনুসরণ করা হচ্ছে না। প্রায় এক একর আয়তনের একটি পুকুর অধিগ্রহণ করে এই ময়লার ভাগাড় গড়ে তোলে পঞ্চগড় পৌরসভা। বর্তমানে পুকুরটি বর্জ্যে ভর্তি হয়ে গেছে। ভাগাড়ের পাশেই রয়েছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসহ পঞ্চগড়ে প্রতিষ্ঠিত একমাত্র একটি বিনোদন পার্ক। রয়েছে ব্যবসায়ী ও শিল্পপ্রতিষ্ঠান। প্রতিদিন কয়েক হাজার শিক্ষার্থীকে ওই ময়লার ভাগাড়ের দুর্গন্ধ নিয়েই ক্লাসে যেতে হয়। পঞ্চগড় পৌরসভা সূত্রে জানা যায়, পৌরসভা প্রতিষ্ঠার শুরুর দিকে জমি অধিগ্রহণ করে ময়লার ভাগাড়টি গড়ে তোলা হয়। তাই পুরনো নিয়মেই এখনো ময়লা-আবর্জনা ফেলা হচ্ছে। কয়েক বছর আগে আরও একটি ময়লার ভাগাড় গড়ে তোলার উদ্যোগ নেয় পৌরসভা। এজন্য প্রায় তিন একর জমিও অধিগ্রহণ করা হয়েছে। কিন্তু কাজ শুরু করতে পারেনি পৌরসভা। তবে সম্প্রতি পৌরসভার কর্মকর্তা-কর্মচারীরা কর্মবিরতি পালন করায় ওই ময়লার ভাগাড় থেকে দুর্গন্ধ বের হচ্ছে বলে জানালেন পৌরসভার প্যানেল মেয়র আশরাফুল আলম। তিনি বলেন, নতুন আধুনিক এবং পরিবেশবান্ধব ময়লার ভাগাড়ের নির্মাণ কাজের টেন্ডার হয়ে গেছে। অচিরেই কাজ শুরু হবে।
