কোরবানির পশুর মজুদ করা কাঁচা চামড়া বিক্রি এবং বকেয়া টাকা উদ্ধারে ব্যবস্থা নিতে জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে বরাবরে স্মারকলিপি দিয়েছে ঠাকুরগাঁও ক্ষুদ্র চামড়া ব্যবসায়ী সমবায় সমিতি। জেলা প্রশাসক সম্মেলন কক্ষে বৈঠক শেষে গতকাল এ স্মারকলিপি দেন ব্যবসায়ীরা।
স্মারকলিপিতে বলা হয়, চামড়া সঠিক মূল্য ও বকেয়া টাকা না পাওয়ায় জেলার অধিকাংশ চামড়া ব্যবসায়ী পথে বসেছে। এক সময়ে জেলায় শতাধিক চামড়া ব্যবসায়ী থাকলেও বর্তমানে ৩০-৩৫ জন এ ব্যবসা ধরে রেখেছে। ট্যানারি মালিকদের কাছে তাদের পাঁচ কোটি ৫ লাখ টাকা বকেয়া রয়েছে। সরকার নির্ধারিত মূল্যে চামড়া কেনার ঘোষণা দিলেও এখন পর্যন্ত কেউ যোগাযোগ করেনি। জেলার ব্যবসায়ীদের কাছে প্রায় ৫০ হাজার পিচ চামড়া লবণজাত করে রাখা হয়েছে। দ্রুত সময়ের মধ্যে চামড়া বিক্রি না হলে তা নষ্ট হবে। অন্যদিকে চামড়ার দাম না পাওয়ায় মৌসুমি ব্যবসায়ীরা ভারতে পাচার করতে পারে বলেও আশঙ্কা প্রকাশ করেন তারা। এ বিষয়ে জেলা প্রশাসক ড. কে এম কামরুজ্জামান সেলিম জানান, স্মারকলিপি পেয়েছি। এ জেলায় কোনো চামড়া নষ্ট হয়নি। চামড়া ব্যবসায়ীরা তাদের পাওনা ফেরত পান এবং সরকার নির্ধারিত মূল্যে যেন চামড়া বিক্রি করতে পারেন সে বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।