শনিবার, ২৪ আগস্ট, ২০১৯ ০০:০০ টা

১২ কিলোমিটার নদী দখলে ১৩১৭ জন

ভাঙ্গা প্রতিনিধি

১২ কিলোমিটার নদী দখলে ১৩১৭ জন

কুমার নদ -ফাইলফটো

ফরিদপুর জেলার অন্যতম নদ কুমার। জেলা সদরের মদনখালী থেকে গোপালগঞ্জের মুকসুদপুর উপজেলার সেনদিয়া ঘাট পর্যন্ত ৭২ কিলোমিটার মিটার দীর্ঘ এ নদ। ফরিদপুর ও গোপালগঞ্জের পাঁচ উপজেলার ৩০০ গ্রামের উপর দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে। এর মধ্যে ভাঙ্গা উপজেলার একটি পৌরসভা ও চারটি ইউনিয়নে রয়েছে ১২ কিলোমিটার। ভাঙ্গা উপজেলায় এ নদের অংশে অবৈধ দখলদার রয়েছেন এক ৩১৭ জন। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) ভাঙ্গা উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলীর কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, ভাঙ্গা পৌরসভা, চুমুরদী, ঘারুয়া, আলগী, হামিরদী ইউনিয়নের ১৬টি মৌজার ১২ কিলোমিটার কুমার নদের ভাঙ্গা অংশের দৈর্ঘ্য। এর মধ্যে নদের জায়গার অবৈধ দখলদার সদরদী মৌজায় ২০৩, ছিলাধরচরে ১৯৯, চুমুরদীতে ১৫৮, চন্ডিদাসদীতে ১৫০, মহেশ^রদীতে ১২৯, হাসামদিয়ায় ১০৪, শরীফাবাদে ৯৬, গঙ্গাধরদীতে ৮৬, চৌকিঘাটায় ৬৭, হাজরাকান্দায় ৪১, আতাদীতে ৩৪, নুরপুরে ২২, মুনসুরাবাদে ১২, বিবিরকান্দায় ১১, হোগলাকান্দিতে ৩, খামিনারবাগে দুজন। ভাঙ্গা পাউবোর উপবিভাগীয় প্রকৌশলী জহিরুল হক জানান, আমরা উপজেলা ভূমি অফিসের সহযোগিতায় দখলদারের তালিকা করেছি। ভাঙ্গার ইউএনও মুকতাদিরুল আহমেদ বলেন, ‘সবাইকে সঙ্গে নিয়ে ভাঙ্গায় নদী-খাল দখলমুক্ত করব।’ জাতীয় নদীরক্ষা কমিশনের চেয়ারম্যান ড. মুজিবুর রহমান বলেন, ‘দখলদারদের হাত থেকে নদী উদ্ধার করবই। নদী আমাদের প্রাণ। আমাদের প্রাণ আমাদেরই বাঁচাতে হবে। নদী দখলের বিষয়ে কোনো ক্ষমা নেই।’

সর্বশেষ খবর