রবিবার, ২৫ আগস্ট, ২০১৯ ০০:০০ টা

ময়নাতদন্ত ছাড়া লাশ দাফন নিয়ে তোলপাড়

কনস্টেবলের স্ত্রীর মৃত্যু

ভোলা প্রতিনিধি

ভোলার ইলিশায় ময়নাতদন্ত ছাড়া পুলিশ কনস্টেবলের স্ত্রীর লাশ দাফন নিয়ে তোলপাড় শুরু হয়েছে। অভিযোগ উঠেছে, দুই সন্তানের জননী জেসমিনকে তার স্বামী পুলিশ সদস্য মাকসুদ কুপিয়ে হত্যা করেছেন। পরে শালিসে ৫ লাখ টাকার বিনিময়ে বিষয়টি ধামাচাপা দেওয়া হয়। মাকসুদের দাবি, তিনি স্ত্রীকে হত্যা করেননি। জেসমিন ছুরি দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন। স্থানীয়রা জানান, ভোলা সদর উপজেলার মাকসুদ স্ত্রী ও দুই ছেলেমেয়ে নিয়ে ঢাকার মুগদায় বসবাস করতেন। ১৮ আগস্ট রাতে জেসমিন ছুরিকাঘাতে গুরুতর আহত হন। প্রথমে মুগদা হাসপাতাল এবং পরে তাকে ঢাকা মেডিকেলে ভর্তি করা হয়। শুক্রবার চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। শনিবার সকালে লাশ ভোলায় আনা হলে এলাকাবাসীর মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। একপর্যায়ে জেসমিনের স্বজনরা মাকসুদকে মারধর করেন। পরে স্থানীয়রা শালিসের মাধ্যমে বিষয়টি ধামাচাপা দেন। শালিস মানিক বাঘা জানান, জেসমিনের পরিবারের অভিযোগ তাদের মেয়েকে হত্যা করা হয়েছে। অন্যদিকে ছেলেপক্ষের বক্তব্য জেসমিন আত্মহত্যা করেছেন। লাশ দাফনের আগে এ নিয়ে শালিস হয়। তাতে সিদ্ধান্ত হয়, নিহতের দুই সন্তানের নামে ৫ লাখ টাকা ডিপোজিট করা হবে। এ ছাড়া পুলিশ সদস্য মাকসুদের যে জমি রয়েছে তার অর্ধেক লিখে দেবে। এ সময় মেয়ের চাচা ও ভাই এবং ছেলের চাচা উপস্থিত ছিলেন। মানিক আরও জানান, লিখিত চুক্তিনামায় হত্যা বা আত্মহত্যার কথা উল্লেখ না করে জেসমিন অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে মারা গেছেন বলে উল্লেখ করা হয়েছে। ভোলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সাফিন মাহমুদ জানান, ঘটনাটি ঘটেছে ঢাকার মুগদায়। তদন্ত সব ঢাকায় হবে। যদি অভিযোগ করা হয় ঢাকায় করা হবে। এখানে নয়।

সর্বশেষ খবর