বাগেরহাটের মোল্লাহাট উপজেলার চুনখোলা ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের দুপক্ষের আধিপত্য বিস্তার নিয়ে একজন নিহতের ঘটনায় এলাকায় আতঙ্ক বিরাজ করছে। গত ১৫ আগস্টের পর থেকে ‘দাড়িয়ালা ও ছোট কাচনা’ গ্রামে দফায়-দফায় অর্ধশত বাড়িতে হামলা ও লুট হয়েছে। মামলা ও হামলার ভয়ে বাড়াছাড়া হয়েছেন প্রায় ১০০ পরিবারের পুরুষ সদস্য। মোল্লাহাট থানা পুলিশের দাবি, পরিস্থিতি তাদের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। জানা যায়, মোল্লাহাট উপজেলার ‘দারিয়ালা ও ছোট কাচনা’ গ্রামে মোল্লা এবং হালদার গ্রুপের মধ্যে গত ৩ আগস্ট সংঘর্ষে বাধে। সংঘর্ষে উভয় গ্রুপের অর্ধশতাধিক লোক আহত হন। আহতদের মধ্যে খুলনা মেডিকেলে চিকিসাধীন অবস্থায় ১১ আগস্ট মোল্লা গ্রুপের দোলোয়ার হোসেন মারা যান। এ মৃত্যুর পর ১৫ আগস্ট থেকে মোল্লা গ্রুপের সদসরা হালদার গ্রুপের লোকজনের বাড়িঘর ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে দফায়-দফায় হামলা, লুটপাট করছে বলে অভিযোগ উঠেছে। ক্ষতিগ্রস্ত ঘরগুলোর দরজা-জানালা ও বেড়া খুলে নেওয়া হয়েছে।
পরিবারের নারী সদস্যদের গাছে বেঁধে রাখা ও শিশুদেরও মারপিট করার অভিযোগ রয়েছে। পুরুষ সদস্যরা বাড়ি ছাড়লেও দুই গ্রামের শিশু-নারীদের মধ্যে ভিতিকর অবস্থা বিরাজ করছে।
মোল্লাহাট উপজেলার স্থানীয় চুনখোলা ইউপি চেয়ারম্যান ও যুবলীগ নেতা মুন্সি তানজিলুর রহমান বলেন, পূর্বশত্রুতার জের ধরে সংঘর্ষে আহত একজন মারা যাওয়ার জের ধরে মামলা হয়। একটি পক্ষ লুটপাট ও ভাঙচুর শুরু করে এলাকার পরিবেশ নষ্ট করছে। ইতিমধ্যে অর্ধশতাধিক বাড়িঘরে হামলা ও লুটপাট হয়েছে। এসব ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া জরুরি। মোল্লাহাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জানান, আওয়ামী লীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষে আহত একজন চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যাওয়ায় একটি পক্ষ লুটপাট ও ভাঙচুর শুরু করছে। বর্তমানে পরিস্থিতি পুলিশের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।