বৃহস্পতিবার, ২৯ আগস্ট, ২০১৯ ০০:০০ টা

গরিবের চোখের চিকিৎসায় দৃষ্টান্ত গাক হাসপাতাল

আব্দুর রহমান টুলু, বগুড়া

গরিবের চোখের চিকিৎসায় দৃষ্টান্ত গাক হাসপাতাল

বগুড়ায় গরিবের চক্ষু চিকিৎসায় আলো ফুটিয়েছে গাক চক্ষু হাসপাতাল। কয়েক বছর ধরে মাত্র ৫০ টাকায় রেজিস্ট্রেশন করে চোখের রোগ নির্ণয় করা হচ্ছে এখানে। অল্প টাকায় চোখের বিভিন্ন সমস্যা দূর করতে বিভিন্ন এলাকা থেকে রোগী আসছেন। গাক চক্ষু হাসপাতাল চিকিৎসা নিয়ে সুস্থ জীবনযাপন করছেন অনেকে।

জানা যায়, ১৯৯২ সালে বগুড়ায় প্রতিষ্ঠিত হয় গ্রাম উন্নয়ন কর্ম (গাক) বেসরকারি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন। প্রতিষ্ঠার পর থেকে দারিদ্র্যবিমোচন, আর্থসামাজিক উন্নয়ন বিষয়ে কাজ করছে এটি। সংস্থার প্রতিষ্ঠাতা নির্বাহী পরিচালক ড. খন্দকার আলমগীর হোসেনসহ কর্মকর্তারা দারিদ্র্যবিমোচন কাজ করতে গিয়ে মাঠপর্যায়ে মানুষের চোখের সমস্যা দেখতে পান। অবহেলিত ও দরিদ্র মানুষের চক্ষু চিকিৎসায় ২০১৫ সালে বগুড়ার বনানীতে গাক চক্ষু হাসপাতাল প্রতিষ্ঠা করা হয়। এ হাসপাতালে চিকিৎসাসেবা প্রদানে চিকিৎসকসহ রয়েছেন ৬০ জন কর্মকর্তা-কর্মচারী। গাক চক্ষু হাসপাতালের ম্যানেজার সৈয়দ আবু ইউছুফ জানান, প্রথম ধাপে যে কোনো রোগী ৫০ টাকায় রেজিস্ট্রেশন করবেন। এরপর চিকিৎসকরা তার সমস্যার কথা শুনবেন। চোখের পরীক্ষা-নিরীক্ষা করবেন। এরপর সিনিয়র চিকিৎসক দেখবেন। যদি ওষুধে সারে তাহলে ব্যবস্থাপত্র দেবেন। আর অপারেশন বা অন্য কিছুর প্রয়োজন হলে সে বিষয়েও ব্যবস্থাপত্রসহ করণীয় সম্পর্কে বলা হবে। আবু ইউছুফ বলেন, ‘বাইরের বিভিন্ন হাসপাতালে খরচের প্রায় ৫০ শতাংশ কমে এখানে চিকিৎসা করতে পারেন রোগীরা। রোগীদের আর্থিক অবস্থার ওপর ভিত্তি করেও চিকিৎসা দেওয়া হয়। কাউকে ফেরানো হয় না।’ প্রতিষ্ঠানের পরামর্শক মোবারক হোসেন তালুকদার জানান, স্বল্পমূল্যে অতিদরিদ্রদের চক্ষু চিকিৎসার মাধ্যমে অন্ধত্ব নিবারণ এবং গণসচেতনতা বৃদ্ধি করতে প্রতিষ্ঠানটি কাজ করে যাচ্ছে। গাকের প্রতিষ্ঠাতা নির্বাহী পরিচালক ড. খন্দকার আলমগীর হোসেন জানান, সঠিক সময়ে চিকিৎসা না করা এবং সচেতনতার অভাবে যারা ধীরে ধীরে অন্ধত্বের দিকে যাচ্ছে তাদের কম মূল্যে চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। তিনি বলেন, সরকারের ভিশন ২০২০ দৃষ্টি সবার অধিকার এমন বিষয়টিকে সামনে রেখে প্রতিষ্ঠান কাজ করছে।

সর্বশেষ খবর