শিরোনাম
বৃহস্পতিবার, ৫ সেপ্টেম্বর, ২০১৯ ০০:০০ টা

খাদ্য গুদামে শত শত টন পচা চাল

কম দামে কিনে দেখানো হয়েছে সরকারি মূল্য পরিশোধ

মাসুদ হাসান বাদল, শেরপুর

খাদ্য গুদামে শত শত টন পচা চাল

শেরপুরের ঝিনাইগাতি উপজেলার খাদ্য গুদামে মজুদ রয়েছে শত শত টন নিম্নমানের ও পচা চাল। অভিযোগ আছে কম দামে এ চাল কিনে অথবা গুদামের চাল গুদামে রেখেই অভিনব কায়দায় সরবরাহকারীদের সরকারি মূল্য পরিশোধ দেখানো হয়েছে। বিষয়টি তদন্তে গঠন করা হয়েছে দুটি কমিটি। গত ২৭ আগস্ট ইউএনওর গঠিত কমিটিকে ৭ দিনের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে। অপর কমিটি গঠন করা হয় ১৭ আগস্ট। জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক এ কমিটিকে ১ সেপ্টেম্বর প্রতিবেদন দিতে বলেছিলেন। তবে খাদ্য নিয়ন্ত্রকের গঠিত কমিটির মেয়াদ আরও ১৫ দিন বাড়ানো  হয়েছে। জানা যায়, ঝিনাইগাতি সরকারি খাদ্য সরকারের টিআর, কাবিখা, হত দরিদ্র প্রকল্প, বোরো সংগ্রহের সময় আমন এবং আমন সংগ্রহের সময় বোরো ও ২-৩ বছরে পুরাতন চাল কম দামে কিনে অর্থ লুপাট চলছে। নিম্নমানের এ সব চাল এখন পোকায় ধরে নষ্ট হয়ে গেছে। একদিকে ক্রয়ে নয়-ছয় করে সরকারের টাকা হাতিয়ে নেওয়া হয়েছে, অন্যদিকে সরকারের ঘাড়ে চাপানো হয়েছে পচা চাল। সূত্র জানায়, চালগুলো এখন গো-খাদ্য হিসেবে চালানোও কঠিন হয়ে পড়েছে। নিয়ম অনুযায়ী গুদামে রাখা প্রতিটি বস্তায় চাল সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানের নাম-ঠিকানা লেখা থাকার কথা থাকলেও কোনো বস্তায় তা নেই।

সরকার বর্তমান বোরো চালের প্রতি কেজির ক্রয় মূল্য দিয়েছে ৩৬ টাকা আর আমন চালের প্রতি কেজির ক্রয়মূল্য ছিল ৩৭ টাকা। গুদামের কিছু অসাধু লোক টিআর, কাবিখা, হতদরিদ্র প্রকল্প ও ২/৩ বছর আগের পুরনো চাল প্রতিকেজি ১৩-১৫ টাকায় কিনে সরকার নির্ধারিত মূল্য পরিশোধ দেখিয়েছে। ঝিনাইগাতির ইউএনও ও উপজেলা খাদ্য ক্রয় কর্মকর্তা রুবেল মাহমুদ জানান, প্রশাসন ও বিভাগীয় তদন্ত চলছে। কেউ দোষী প্রমাণিত হলে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে। জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক ফরহাদ খন্দকার জানান, পচা ও নষ্ট চাল নয়-সরকারি বিনির্দেশ বহির্ভূত চাল কেনা। তদন্ত প্রতিবেদন হাতে পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

সর্বশেষ খবর