সোমবার, ৯ সেপ্টেম্বর, ২০১৯ ০০:০০ টা

ধর্ষণের শিকার গৃহবধূকে ধর্ষকের সঙ্গে বিয়ে

পাবনা প্রতিনিধি

পাবনায় গণধর্ষণের শিকার গৃহবধূকে অভিযুক্ত এক ধর্ষকের সঙ্গে বিয়ে দেওয়ার ঘটনা ঘটেছে। অভিযোগ উঠেছে পুলিশ এ ঘটনায় মামলা না নিয়ে স্থানীয়দের মধ্যস্থতায় থানায় এ বিয়ে দেয়। গত শুক্রবার রাতে পাবনা সদর    থানায় ঘটনাটি ঘটে। বিয়ের ঘটনা স্বীকার করলেও থানায় বিয়ে হয়নি বলে দাবি পুলিশের। ধর্ষণের অভিযোগে অভিযুক্ত রাসেল আহমেদ বলেন, ‘আমি ধর্ষণের সঙ্গে জড়িত নই। আমাকে পুলিশ মিথ্যা অভিযোগে গ্রেফতার করে মামলা ও রিমান্ডের ভয় দেখিয়ে জোর করে বিয়ে পড়িয়েছে। আমি ষড়যন্ত্রের শিকার। থানায় বিয়ের সময় এসআই একরাম আমাদের ছবিও তোলেন।’ এ ঘটনার নিন্দা জানিয়ে মানবাধিকার কর্মী অ্যাডভোকেট কামরুন্নাহার জলি বলেন, ‘ধর্ষণের বিচার না করে ধর্ষকের সঙ্গে বিয়ে দেওয়া মীমাংসার নামে প্রহসন। থানায় এ ধরনের ঘটনা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়।’ সদর থানার ওসি ওবায়দুল হক বলেন, ওই গৃহবধূ প্রথমে ধর্ষণের অভিযোগ দিলেও পরে প্রত্যাহার করে নেন। ওই দিন রাতে তাদের বিয়ের কথা শুনেছি।

থানায় কোনো বিয়ের ঘটনা ঘটেনি। আমরা এর সঙ্গে জড়িত থাকার প্রশ্নই ওঠে না। পাবনার পুলিশ সুপার শেখ রফিকুল ইসলাম বলেন, বিষয়টি খোঁজখবর নিয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ভুক্তভোগী গৃহবধূ ও স্থানীয়রা জানান, সদর উপজেলার দাপুনিয়া ইউনিয়নের ওই নারী স্বামী ও তিন সন্তান নিয়ে বসবাস করছেন। গত ২৯ আগস্ট রাতে একই গ্রামের রাসেল আহমেদ চার সহযোগী নিয়ে তাকে অপহরণ করে। তারা গৃহবধূকে আটকে রেখে কয়েকদিন ধর্ষণের পর নির্যাতিতা কৌশলে পালিয়ে আসেন। গৃহবধূর বাবা বলেন, স্বামী-সন্তান থাকা অবস্থায় কীভাবে বিয়ে দিল তা আমাদের বোধগম্য নয়।’

সর্বশেষ খবর