সোমবার, ১৬ সেপ্টেম্বর, ২০১৯ ০০:০০ টা

দখলে সরু জিকে খাল

দুই পাড়ে গড়ে উঠেছে ৬০০ অবৈধ স্থাপনা

জামান আখতার, চুয়াডাঙ্গা

দখলে সরু জিকে খাল

জিকে খাল দখল করে গড়ে তোলা স্থাপনা

চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গার গঙ্গা-কপোতাক্ষ সেচখালের (জিকে প্রকল্প) আওতাধীন কুমার নদ ও নদ সংলগ্ন খালের দুই পাড়ে গড়ে উঠেছে ছয়শতাধিক কাঁচা-পাকা অবৈধ স্থাপনা। অব্যাহত দখলের ফলে সঙ্কুচিত হয়ে গেছে খালগুলো। পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) কর্তৃপক্ষ বলছে, দখলদারদের তালিকা করে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠিয়েছি। এলাকাবাসীর সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, একযুগ আগে কুমার নদ ও সংযুক্ত খালের দুই পাড় দখল শুরু হয়। দখলদাররা দুই পাড়ে নির্মাণ করেছে ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান ও আবাসিক স্থাপনা। ধীরে ধীরে দখল ছড়িয়ে পড়ে খালের মধ্যেও। অনেকে খালের ভিতর থেকে পিলার তুলে নির্মাণ করছেন পাকা ভবন। আলমডাঙ্গার সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব খন্দকার হামিদুল ইসলাম আজম বলেন, জিকে সেচখালের অনেক জায়গা অবৈধভাবে দখল হয়ে গেছে। সরু হয়ে গেছে খালগুলো। এখনই খাল দখলমুক্ত করা না হলে আলমডাঙ্গার হাজার হাজার একর জমি সেচ সুবিধা পাবে না। ভরাট হতে হতে অস্তিত্ব হারাবে খালসহ কুমার নদ। শিক্ষার্থী আসাদুজ্জামান শাহিন বলেন, আলমডাঙ্গা শহরের প্রাণকেন্দ্রে সবার চোখের সামনে চলছে দখল। নদীর পাশ দিয়ে হেঁটে গেলেও নদী দেখা যায় না। দখলের কারণে নদীর প্রবাহ নষ্ট হচ্ছে। দূষিত হচ্ছে পানি। চুয়াডাঙ্গা পাউবোর নির্বাহী প্রকৌশলী জাহেদুল ইসলাম বলেন, ‘ইতিমধ্যেই আমরা ৬০০ অবৈধ দখলদার চিহ্নিত করেছি। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে তা জানানো হয়েছে। তাদের উচ্ছেদ করার জন্য বরাদ্দ চাওয়া হয়েছে। বরাদ্দ পাওয়া যাবে বলেও জানতে পেরেছি। আশা করি, অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা সম্ভব হবে।’ চুয়াডাঙ্গা পাউবো জানায়, চাষাবাদে সেচ সুবিধার জন্য দেশ স্বাধীনের আগে জিকে সেচ প্রকল্প চালু করা হয়। কুষ্টিয়া, চুয়াডাঙ্গা, ঝিনাইদহ ও মাগুরা জেলার বিপুল পরিমাণ জমিতে এ প্রকল্পের মাধ্যমে সেচ দেওয়া হয়। এতে সেচ খরচ কম হয় কৃষকের। চুয়াডাঙ্গা জেলায় এ প্রকল্পের আওতায় রয়েছে ৩৭ হাজার ৭৯০ হেক্টর জমি। পাউবো জানায়, এমনিতেই নিয়মিত সংস্কার না করার কারণে অনেক সেচখাল ভরাট হয়ে গেছে। এ কারণে ভরা মৌসুমেও সেচখালের সব এলাকায় পানি পৌঁছে না। তার ওপর দখলদারদের কারণে খালের অনেক স্থানে একেবারেই পৌঁছে না পানি। খালগুলো দিন দিন আরও ভরাট হচ্ছে।

 

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর