শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর, ২০১৯ ০০:০০ টা

নদীগর্ভে ১২ বিদ্যালয় ভবন খোলা জায়গায় পাঠদান

গাইবান্ধা প্রতিনিধি

নদীগর্ভে ১২ বিদ্যালয় ভবন খোলা জায়গায় পাঠদান

ফুলছড়ি উপজেলার কঞ্চিপাড়া ইউনিয়নের কেতকির হাট প্রাথমিক বিদ্যালয়

চলতি বছরের বন্যায় গাইবান্ধা জেলায় ১২টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ভবন ব্রহ্মপুত্র ও তিস্তা নদীতে বিলীন হয়ে গেছে। প্রায় এক মাস পাঠদান বন্ধ থাকার পর খোলা জায়গায় ছাদ হিসাবে টিন ব্যবহার করে তার নিচে চলছে পাঠদান। এছাড়া জেলার সাতটি উপজেলায় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এক হাজার ৬০ জন শিক্ষকের পদ শূন্য রয়েছে। এরমধ্যে প্রধান শিক্ষক ১১৯ ও সহকারী ৯৪১ জন। ফলে সামগ্রিকভাবে জেলায় প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পাঠদান বিঘ্নিত হচ্ছে।  জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা যায়, বন্যায় গাইবান্ধা সদর উপজেলার ৫, ফুলছড়িতে ৫ এবং সুন্দরগঞ্জে ২টি প্রাথমিক বিদ্যালয় নদীতে বিলীন হয়ে গেছে। শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা খোলা জায়গায় পাঠদানের নানা সমস্যার কথা তুলে ধরে দ্রুত এর প্রতিকার চেয়েছেন। শ্রেণিকক্ষ না থাকায় রোদ, বৃষ্টি, ধুলোর কারণে এ সব প্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থীদের উপস্থিতিও কম। জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা হোসেন আলী জানান, বন্যার সময় নদী ভাঙনে বিদ্যালয়গুলোর পাকা ভবনসহ আসবাবপত্রও ভেসে গেছে। বন্যার পানি নেমে যাওয়ার পর অন্যত্র ব্যক্তিমালিকানা জায়গায় টিনের ঘর তুলে ক্লাস নেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন স্তরে জানানো হয়েছে। বরাদ্দ পেলেই স্কুলভবন তৈরির কাজ শুরু হবে। এদিকে জেলার সাতটি উপজেলায় এক হাজার ৪৬৪টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ছাত্রছাত্রী সংখ্যা পাঁচ লক্ষাধিক। এরমধ্যে ১১৯টি বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষকের পদ শূন্য আর সহকারী শিক্ষকের পদ শূন্য রয়েছে ৯৪১টি। প্রধান শিক্ষক নেই- গাইবান্ধা সদর উপজেলায় ৪, পলাশবাড়ীতে ১৬, ফুলছড়িতে ২২, সুন্দরগঞ্জে ৪১, সাঘাটায় ২০, গোবিন্দগঞ্জে ১৫ ও সাদুল্যাপুরে একজন। আর সহকারী শিক্ষকের পদশূন্য রয়েছে সদরে ১৬৮, গোবিন্দগঞ্জে ১৫০, পলাশবাড়ীতে ২০০, ফুলছড়িতে ১৫১, সাদুল্যাপুরে ১১৫, সাঘাটায় ৮৪ ও সুন্দরগঞ্জ ৭৩ জন। এ বিষয়ে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা হোসেন আলী বলেন, শিক্ষকরা অবসরে যাওয়ার কারণে পদ শূন্য হচ্ছে। যেসব প্রতিষ্ঠানে প্রধান শিক্ষক নেই, সেখানে জ্যেষ্ঠতার ভিত্তিতে সহকারী শিক্ষকদের প্রধানের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া সম্প্রতি প্রাথমিক শিক্ষকনিয়োগ পরীক্ষার ফল বের হয়েছে। এ কার্যক্রম সম্পন্ন হলে অক্টোবর মাসের মধ্যে শূন্যপদ পূরণ হয়ে যাবে বলে আশা রাখি।

সর্বশেষ খবর