শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর, ২০১৯ ০০:০০ টা

পাহাড়ে সক্রিয় সন্ত্রাসীরা ৯ মাসে ১৬ খুন

রাঙামাটি প্রতিনিধি

অশান্ত হয়ে উঠেছে পাহাড়। সশস্ত্র সন্ত্রাসীদের গুলিতে আবারও ঝরলো রক্ত। দীর্ঘ হল লাশের মিছিল। সন্ত্রাসীদের এমন অপতৎপরতায় পার্বত্য এলাকায় নতুন করে দেখা দিয়েছে শঙ্কা। রাঙামাটি জেলা প্রশাসন বলছে, পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে কাজ করছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, পার্বত্যাঞ্চলে দীর্ঘদিন ধরে চলেছে আঞ্চলিক সন্ত্রাসীদের মধ্যে ভ্রাতৃঘাতি সংঘাত। তাদের প্রতিহিংসায় অকালে ঝরেছে প্রাণ। দিনে দিনে তার ভয়াবহ রূপ নিচ্ছে। তাদের প্রতিহিংসার বলি হচ্ছে সাধারণ ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী ও বাঙালিরাও। বাদ যায়নি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরাও। তথ্যসূত্রে জানা গেছে, চলতি বছের ৯ মাসে শুধু রাঙামাটিতে সন্ত্রাসীদের গুলিতে প্রাণ হারিয়েছেন ১৬ জন। অপহরণ হয়েছেন ২৩ জনের অধিক। আর চাঁদাবাজিও নির্যাতনে ঘটনা এখন প্রতিদিনের। সদর উপজেলা চেয়ারম্যান শহীদুজ্জামান মহসিন বলেন, ‘পাহাড় থেকে অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার করা না হলে কিছুতেই এখানে শান্তি ফিরবে না। কারণ সন্ত্রাসীদের শক্তির মূল উৎস অস্ত্র। অস্ত্রের কারণে পাহাড়ে অপরাধ প্রবণতা বেড়েছে।’ স্থানীয় জাহাঙ্গীর আলম মুন্না জানান, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীই পারে সন্ত্রাসীদের আইনের আওতায় আনতে। সেনাক্যাম্প তুলে নেওয়ার পর পার্বত্য অঞ্চল এখন অরক্ষিত। এ কারণে সহজেই সন্ত্রাসীরা সেখানে তাদের আস্তানা তৈরি করছে। এ ব্যাপারে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন রাঙামাটি পুলিশ সুপার আলমগীর কবির। তিনি বলেন, ভৌগোলিক কারণে পার্বত্যাঞ্চলের সন্ত্রাসীদের আটক করা যাচ্ছে না। গহীন অরণ্যে সন্ত্রাসীরা সহজে গা ঢাকা দিতে পারে। তবে এ সব সন্ত্রাসীর বিরুদ্ধে সব সময় কঠোর অবস্থানে রয়েছে প্রশাসন। কোনো সহিংসতাকারীকে ছাড় দেওয়া হয় না। অন্যদিকে পার্বত্যাঞ্চলে সশস্ত্র সন্ত্রাসীদের দৌরাত্ম্য কমাতে সরকারকে আবারও পাহাড়ে যৌথবাহিনীর নিরাপত্তা ক্যাম্প স্থাপনের দাবি জানিয়েছেন স্থানীয়রা।

সর্বশেষ খবর