শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর, ২০১৯ ০০:০০ টা

১৬ বছর ধরে চিকিৎসক নেই ঝুঁকিতে প্রাণিসম্পদ

গাইবান্ধার একমাত্র প্রাণী হাসপাতাল

গাইবান্ধা প্রতিনিধি

কৃষিনির্ভর এলাকা হিসেবে পরিচিত উত্তরাঞ্চলের জেলা গাইবান্ধা। এ জেলার বিরাট সম্ভাবনাময় খাত প্রাণিসম্পদ। প্রাণির চিকিৎসার জন্য গাইবান্ধায় আছে একটিমাত্র ভেটেরিনারি হাসপাতাল। কিন্তু সেখানে ১৬ বছর ধরে কোনো চিকিৎসকই নেই। ফলে প্রাণিসম্পদ আছে ঝুঁকিতে। আর খামারিসহ পশু পালনকারীরা আছেন শঙ্কায়। গাইবান্ধা সদর উপজেলা প্রাণিসম্পদ কার্যালয়ও চার মাস ধরে ভেটেরিনারি সার্জনশূন্য। জেলা প্রাণিসম্পদ কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, গাইবান্ধায় মোট গবাদি পশুর সংখ্যা ১৭ লাখ ৩৩ হাজার ৮৪১ এবং হাঁস-মুরগির সংখ্যা ৬৮ লাখ ৮৩ হাজার ৩১২। এর মধ্যে গরু ৮ লাখ ৪৭ হাজার ৪৩৫, ছাগল ৭ লাখ ২ হাজার ৯৫৬ এবং মহিষ ১৫ হাজার ৩৯৫টি। জেলায় ইতিমধ্যে গড়ে উঠেছে ৬৮৮টি গরুর খামার, ৩৬৬টি ভেড়া ও ২২১টি ছাগলের খামার। এছাড়া ব্রয়লার মুরগির ৬৯৪টি, লেয়ারের ২৩টি এবং ১৮০টি হাঁসের খামার আছে। এসব প্রাণির চিকিৎসা ও ভ্যাকসিনেশনের জন্য উপজেলা পর্যায়ে নেই কোনো প্রাণি হাসপাতাল। ফলে ওষুধ বিক্রয়কারী, কম্পাউন্ডারের পরামর্শ অথবা অনুমানের ওপর ভর করে চলছেন খামারিরা। এতে অপ্রয়োজনীয় অ্যান্টিবায়োটিকসহ নানা ওষুধ যেমন প্রয়োগ করা হচ্ছে তেমনি যথাযথ চিকিৎসার অভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন তারা। কয়েকজন খামারি জানান, জেলার সাত উপজেলার ৮২ ইউনিয়নের কোথাও পশু-পাখি চিকিৎসার জন্য সরকারি ব্যবস্থা নেই। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, প্রতিটি ইউনিয়ন পরিষদে ভবনে প্রাণিসম্পদ দফতরের জন্য একটি কক্ষ বরাদ্দ থাকলেও সেখানে কোনো জনবল নেই।

জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা  ডা. আবদুস ছামাদ জানান, বেশিরভাগ পশু খামারের অবস্থান যেমন গ্রামে তেমনি বাড়িঘরে গবাদিপশু পালনও গ্রামাঞ্চলে বেশি হয়। এ জন্য প্রতিটি ইউনিয়নে পশু চিকিৎসার ব্যবস্থা করলে এ খাতে গ্রামীণ নারীসহ উদ্যোক্তার সংখ্যা যেমন বৃদ্ধি পাবে তেমনি বেকারও বিনিয়োগ করে কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করতে পারবেন। এ কর্মকর্তা বলেন, প্রাণি হাসপাতালে চিকিৎসক না থাকার বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।

সর্বশেষ খবর