সোমবার, ২৩ সেপ্টেম্বর, ২০১৯ ০০:০০ টা

যেভাবে ত্রাসের রাজত্ব অভিযুক্ত ফয়েজের!

শিবগঞ্জে যুবকের কব্জি কর্তন

চাঁপাইনবাবগঞ্জ প্রতিনিধি

চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জে যুবকের দুই হাতের কব্জি কেটে বিচ্ছিন্ন করার ঘটনার প্রধান আসামি স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান ফয়েজ উদ্দিন। তিনিসহ পাঁচজন এ মামলায় গ্রেফতার হয়ে এখন আছেন পলিশি রিমান্ডে।

অভিযোগ আছে, স্থানীয় নেতা আর পুলিশের আশ্রয়-প্রশ্রয়ে এলাকায় ত্রাসের রাজত্ব কয়েম করেন উজিরপুর ইউপি চেয়ারম্যান ফয়েজ উদ্দিন। তার ভয়ে এলাকার মানুষ তটস্থ থাকলেও যুবকের দুই হাতের কব্জি কাটার ঘটনার পর আলোচনায় আসেন তিনি। ওই ঘটনায় চার সহযোগিসহ ফয়েজ গ্রেফতার হওয়ার পর এলাকার মানুষ মুখ খুলতে শুরু করেছেন। জানা যায়, ফয়েজ উদ্দিন ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি ছিলেন ২০১৪ সালে। ২০১৬ সালে তৎকালীন সংসদ সদস্য গোলাম রাব্বানীর আশীর্বাদে উজিরপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান পদে নির্বাচন করে বিজয়ী হন। চেয়ারম্যান হওয়ার পর থেকে শুরু হয় তার দাপট। তিনি গঠন করেন প্রায় ৫০ জনের ক্যাডারবাহিনী। যেখানেই যান তার সঙ্গে থাকে প্রায় ২০টি মোটরসাইকেলের বহর। গরু ছিনতাই, চাঁদাবাজি, মুক্তিপণ আদায়সহ নানা অপকর্ম চালাতে থাকে ফয়েজ বাহিনী। তার অপকর্ম নির্বিঘ্নে চালানোর জন্য গড়ে তুলেন একটি ভবন। সেই ভবন এখন ফয়েজের ‘টর্চার সেল’ নামে পরিচিত। বছর দুয়েক আগে তিনি একটি মাদক মামলায় আটক হলেও পরদিনই জামিনে এসে অপকর্মের মাত্রা আরও বাড়িয়ে দেন।

বর্তমানে তার বিরুদ্ধে অস্ত্র-মাদকসহ ছয়টি মামলা রয়েছে। এরমধ্যে কয়েকটি মামলায় গ্রেফতারি পরোয়ানা থাকলেও তিনি প্রকাশ্যে ক্যাডার বাহিনী নিয়ে চলাফেরা করতেন। গত বুধবার রাতে ফেরি ঘাটের ইজারা নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে নয়ালাভাঙ্গা ইউনিয়নের খোদা বক্সের ছেলে রুবেলকে ধরে নিয়ে ফয়েজের উপস্থিতিতে তার ক্যাডার বাহিনী রুবেলের দুই হাতের কব্জি কেটে নেয়। এ ঘটনাটিই কাল হয় তার জন্য। স্থানীয় এমপি ডা. সামিল উদ্দিন আহমেদ শিমুল বলেন, ‘ফয়েজ চেয়ারম্যান তার এলাকার উন্নয়নের জন্য তার কাছে যেতেন। তিনি তাকে কখনও প্রশ্রয় দেননি।’ কব্জি কাটার মতো জঘন্য কাজ করায় ফয়েজের উপযুক্ত শাস্তি হওয়া প্রয়োজন বলে মনে করেন তিনি।

সর্বশেষ খবর