বৃহস্পতিবার, ২৬ সেপ্টেম্বর, ২০১৯ ০০:০০ টা

শিক্ষক সংকটে ব্যাহত পাঠদান ঝরে পড়ছে শিক্ষার্থী

মৌলভীবাজারের প্রাথমিক বিদ্যালয়

মৌলভীবাজার প্রতিনিধি

মৌলভীবাজারের প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোতে শিক্ষক সংকট তীব্র আকার ধারণ করেছে। জেলা শিক্ষা অফিসসূত্র জানায়, মৌলভীবাজারের সাত উপজেলায় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে এক হাজার ৫২টি। এর মধ্যে প্রধান শিক্ষকের পদ শূন্য ১৯১টি। আর সহকারী শিক্ষক নেই ৩৮১ জন। ফলে দিব্যালয়ে পাঠদান ব্যাহত হচ্ছে। ঝরে পড়ছে শিশু শিক্ষার্থীরা। জেলার প্রত্যন্ত অঞ্চলে অবস্থিত বিদ্যালয়গুলোতে শিক্ষক সংকটের প্রভাব বেশি পড়ছে। বিশেষ করে হাওর অঞ্চলে। ফলে প্রকৃত শিক্ষা ব্যবস্থা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন গ্রামের হতদরিদ্র ও শ্রমজীবীদের ছেলে-মেয়েরা। জানা যায়, রাজনগর উপজেলার শাহবাজপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় আট বছর ধরে চলছে একজন শিক্ষক দিয়ে। শুধু শাহাবাজপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ই নয়, ফতেপুর আব্দুল্লাপুর, পশ্চিম ভাগ এলাকার বাবুর বাজার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়সহ হাওর পাড়ের প্রায় সব বিদ্যালয়ের একই দশা। কোনো কোনো বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক ও একজন সহকারী শিক্ষক দিয়ে পাঠদান করা হচ্ছে। অভিযোগ রয়েছে হাওরপাড়ের সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা সময়মতো স্কুলে আসেন না। আবার অনেকেই ছুটি না নিয়ে বিদ্যালয়ে অনুপস্থিত থাকছেন। একাধিক অভিভাবক জানান, অনেক এলাকার স্কুলে ছাত্র-ছাত্রী আমাদের এলাকার বিদ্যালয় থেকে কম কিন্তু সেখানে শিক্ষক পর্যাপ্ত রয়েছেন। এমনিতেই হাওর অধ্যুষিত গ্রামগুলোয় উপজেলার অন্য এলাকার তুলনায় শিক্ষাক্ষেত্রে পিছিয়ে আছে। এরপরও আমাদের বিদ্যালয়গুলোয় পর্যাপ্ত শিক্ষক নেই। শিক্ষক সংকটের কারণে ছেলে-মেয়েরা প্রকৃত শিক্ষা ব্যবস্থা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। তারা পাচ্ছে না পাঠদানের উপযুক্ত পরিবেশ। সময়মতো ক্লাস না হওয়ায় ছেলে-মেয়েরা বিদ্যালয়ে যেতে চায় না।  শাহবাজপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক যোগময় চক্রবর্তী বলেন, ‘দীর্ঘদিন ধরে তিনি একাই বিদ্যালয়ের পাঠদান চালাচ্ছেন। একা ছয়টি ক্লাস সামলাতে তাকে হিমশিম খেতে হচ্ছে। বিদ্যালয়টিতে শিক্ষক দেওয়ার জন্য তিনি একাধিকবার লিখিত ও মৌখিক আবেদন করলেও প্রতিকার হয়নি।’ বাবুর বাজার প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রঙ্গলাল আচার্য বলেন, ‘আমার বিদ্যালয়ে শিক্ষক সংকট রয়েছে। অনেক সময় একজন শিক্ষককে একসঙ্গে দুটি ক্লাস নিতে হয়।’

সর্বশেষ খবর