শুক্রবার, ২৭ সেপ্টেম্বর, ২০১৯ ০০:০০ টা

২৪ ঘণ্টায় স্কুলসহ শতাধিক বাড়ি পদ্মায় বিলীন

ঝুঁকিতে আরও চার স্কুল

মাদারীপুর প্রতিনিধি

২৪ ঘণ্টায় স্কুলসহ শতাধিক বাড়ি পদ্মায় বিলীন

পদ্মায় অস্বাভাবিক হারে পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় বেড়েছে ভাঙন। গত ২৪ ঘণ্টায় মাদারীপুরের শিবচরে একটি তিনতলা স্কুলভবনসহ শতাধিক ঘরবাড়ি নদীতে বিলীন হয়ে গেছে। এর দুদিন আগে বিদ্যালয় সংলগ্ন দ্বিতল ইউনিয়ন স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ভবনসহ শতাধিক ঘর বাড়ি ধসে যায়। এ নিয়ে গত এক সপ্তাহে একটি স্কুল ভবন, একটি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, দুই শতাধিক বাড়ি-স্থাপনা বিলীন হয়েছে। এখনো ভাঙন ঝুঁকিতে রয়েছে চরাঞ্চলের চারটি স্কুল, ইউনিয়ন পরিষদ ভবন, হাসপাতালসহ বহু স্থাপনা ও ফসলি জমি। উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ভাঙন এলাকা পরিদর্শন করেছেন। পানি উন্নয়ন বোর্ড বালুর বস্তা ফেলে ভাঙন প্রতিরোধের চেষ্টা চালাচ্ছে।

একাধিক সূত্র জানায়, চলতি বছর আগস্টে প্রথম দফায় শিবচর উপজেলার চরজানাজাত, কাঁঠালবাড়ি ও বন্দরখোলা ইউনিয়নে নদী ভাঙন দেখা দেয়। তখন একটি মাদ্রাসা, পাঁচ শতাধিক ঘরবাড়ি, ব্রিজ কালভার্ট, ফসলি জমি পদ্মায় বিলীন হয়। দ্বিতীয় দফা ভাঙনে গত বুধবার সকালে কাঁঠালবাড়ির তিনতলা বিশিষ্ট মাগুরখ- সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভবন নদীতে ভেসে গেছে। এতে বিদ্যালয়ের ছয় শতাধিক শিক্ষার্থীর লেখাপড়া বন্ধ হওয়ার উপক্রম হয়েছে। একই দিন কাঁঠালবাড়ি আশরাফিয়া মাদ্রাসাসহ শতাধিক ঘরবাড়ি নদীতে বিলীন হয়ে যায়। এর আগে সোমবার কাঁঠালবাড়ি ইউনিয়ন স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ভবনসহ শতাধিক ঘরবাড়ি নদীগর্ভে চলে যায়। এছাড়া আড়িয়াল খাঁ নদী-তীরবর্তী সন্ন্যাসীরচর ও শিরুয়াইল ইউনিয়ন দুটিও আড়িয়াল খাঁর ভাঙনে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। গত কয়েক দিনের অস্বাভাবিক পানি বৃদ্ধিতে পদ্মার ভাঙন ভয়াবহ রূপ নিয়েছে। ভাঙনকবলিতরা ঘরবাড়ি নিয়ে অন্যত্র সরে যাচ্ছে। ঝুঁকিতে রয়েছে বিস্তীর্ণ জনপদ।

 উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা রফিকুল ইসলাম বলেন, পদ্মায় পানি বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে তীব্র স্রোত থাকায় ভাঙন কবলিত এলাকা ঝুকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। বিলীন হওয়া বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের লেখাপড়া যাতে বন্ধ না হয় তার বিকল্প ব্যবস্থা করা হবে। ইউএনও (ভারপ্রাপ্ত) আল নোমান বলেন, নদীতে প্রচন্ড স্রোত রয়েছে। জিও ব্যাগ ফেলে ভাঙন প্রতিরোধের ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। মাদারীপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী পার্থ প্রতিম সাহা বলেন, নদীভাঙন রোধে বড় একটি প্রকল্প মন্ত্রণালয়ে অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছে। সেটি অনুমোদন হলে ভাঙন থেকে মাদারীপুরবাসী রক্ষা পাবে বলে আশা করছি।

সর্বশেষ খবর