শিরোনাম
শুক্রবার, ২৭ সেপ্টেম্বর, ২০১৯ ০০:০০ টা

ভূমিহীন বৃদ্ধার শেষ সম্বলটুকুও রইল না

নাটোর প্রতিনিধি

গুরুদাসপুর উপজেলার মহারাজপুর পূর্বপাড়া গ্রামের ভূমিহীন উম্মেহানি (৫৭)। বিপদে পড়ে বেসরকারি সংস্থা গ্রামীণ ব্যাংক, ব্র্যাক ব্যাংক, ঠেঙ্গামারা এবং মহাজন হেলেনা, কোহিনুরসহ বিভিন্নজনের কাছ থেকে ঋণ ও চড়া সুদে টাকা নেন তিনি। তার মাথায় এখন চার লাখ টাকার ঋণের বোঝা। মহারাজপুর গ্রামের সোলায়মান আলীর পুকুরপাড়ে ছাপরা ঘরে থাকেন উম্মেহানি। স্বামী জাকারিয়া ৩০ বছর নিরুদ্দেশ থাকার পর অসুস্থ ও অক্ষম হয়ে তার কাছে ফিরে এসেছেন। স্বামীকে নিয়ে সংসার চালানো আরো কঠিন হয়ে পড়েছে। অসুখের কারণে দিনমজুরের কাজও করতে পারছেন না উম্মেহানি। উপায় না দেখে নিজের কিডনি বিক্রির জন্য বিভিন্নজনের কাছে ধরনা দিয়ে ব্যর্থ হন। শেষ সম্বল তার পাঁচটি ছাগলও নিয়ে গেছেন পাঁচ হাজার টাকার পাওনাদার আরিফ। একমাত্র ছেলে হারিস উদ্দিনকে কর্মসংস্থানের জন্য দুই লাখ টাকা ঋণ করে একটি মোটরসাইকেল ও মোবাইল ফোন কিনে দেন। মেয়ে জুলিয়াকে বিয়ে দেন ৩০ হাজার টাকা ঋণ করে। তিনি  অসুস্থ হলে ছেলের আয়ের মাধ্যম মোটরসাইকেলটি ৭০ হাজার টাকায় বন্ধক রাখার পরও এনজিও থেকে আরও ঋণ করতে হয় তাকে। চিকিৎসা শেষে বাড়ি এসে আরেকটি এনজিও থেকে ঋণ করে মোটরসাইকেলটি উদ্ধার করেন। ঋণে জর্জরিত উম্মেহানি বলেন, ‘এত মানুষের কিডনি বিক্রির খবর পাওয়া যায় অথচ আমার কিডনি কেউ নিচ্ছে না। আমি এখন কি করব আল্লারে’ বলেই হাউমাউ করে কেঁদে ফেলেন তিনি।

সর্বশেষ খবর