বুধবার, ২ অক্টোবর, ২০১৯ ০০:০০ টা

চাকরি দেবে বলে কোটি কোটি টাকা আত্মসাৎ

স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতার কান্ড!

নিজস্ব প্রতিবেদক, বগুড়া

বগুড়ার ধুনটে চাকরি দেওয়ার কথা বলে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে উধাও হয়েছেন উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগ সভাপতি সুলতান মাহমুদ। এ ঘটনায় দুইটি মামলায় তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছে আদালত। জানা যায়, ধুনট সদরপাড়ার আজিজার রহমানের ছেলে সুলতান মাহমুদ ২০১৫ সালে উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক হন। ২০১৭ সালে ধুনট স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি পদে নির্বাচিত হন তিনি। এর পরই জড়িয়ে পড়েন নানা অনিয়মে। মন্ত্রী-এমপি ও বিভিন্ন দফতরের কর্মকর্তাদের নাম ব্যবহার করে সরকারি-বেসরকারি চাকরি দেওয়ার নামে বগুড়া, কাজিপুর, ধুনটসহ বিভিন্ন এলাকার দুই শতাধিক ব্যক্তির কাছ থেকে তিনি কয়েক কোটি টাকা হতিয়ে নেন। টাকা নেওয়ার সময় সুলতান মাহমুদ নির্ধারিত টাকার পরিমাণ লিখে ধুনট রূপালী ব্যাংক শাখার চেক দিয়েছেন প্রার্থীদের। চাকরি দিতে ব্যর্থ হলে এক মাসের মধ্যে এককালীন টাকা রূপালী ব্যাংক থেকে তুলে দেওয়ারও প্রতিশ্রুতি দেন। কিন্তু সুলতান মাহমুদের ব্যাংক অ্যাকাউন্টে কোনো টাকা না থাকায় হতাশাগ্রস্ত হয়ে পড়েছেন ভুক্তভোগীরা। দীর্ঘদিনেও চাকরি না পেয়ে নাসিম উদ্দিন নামে এক ভুক্তভোগী বগুড়া আদালতে অভিযোগপত্র দিলে বিচারক তা আমলে নিয়ে ধুনট থানার ওসিকে নির্দেশনা দেন। গত ২৮ জুন ধুনট থানায় মামলাটি রেকর্ডভুক্ত করা হয়। এ মামলা তদন্ত করছেন জেলা সিআইডি পুলিশ। অভিযুক্ত সুলতান মাহমুদ বলেন, ‘চাকরি দেব বলে আত্মীয়-স্বজনদের কাছ থেকে টাকা নিয়েছি। বিষয়টি আমার পরিবারিক। তাই এ বিষয়ে তিনি কথা বলতে রাজি নন।’ রূপালী ব্যাংক ধুনট শাখা ব্যবস্থাপক শাহানুল হাসান বলেন, ‘এ পর্যন্ত সুলতান মাহমুদের স্বাক্ষরিত অর্ধ কোটি টাকার প্রায় ১৫টি ডিজঅনার চেক জমা হয়েছে।

এছাড়া আরো অনেক ব্যক্তি চেক নিয়ে এসেছিলেন। তার হিসাব নম্বরে কোনো টাকা না থাকায় কেউ টাকা তুলতে পারেননি। চেক জালিয়াতির বিষয়ে ব্যাংক কর্তৃপক্ষ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে। ধুনট থানার ওসি জানান, সুলতান মাহমুদের বিরুদ্ধে দুইটি মামলায় গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি রয়েছে। তাকে ধরার চেষ্টা চলছে।

সর্বশেষ খবর