রবিবার, ৬ অক্টোবর, ২০১৯ ০০:০০ টা

অটো রাইস মিলে শত শত মেট্রিক টন চালে পচন

দাম কম হওয়ায় বিক্রি করছেন না মালিকরা

আদমদীঘি (বগুড়া) প্রতিনিধি

অটো রাইস মিলে শত শত মেট্রিক টন চালে পচন

গুদামে পচে যাওয়া চাল -বাংলাদেশ প্রতিদিন

খাদ্য উদ্বৃত্ত এলাকা হিসেবে পরিচিত বগুড়ার আদমদীঘি উপজেলা। চলতি মৌসুমে বাজারে চালের দাম কম হওয়ায় এখানকার অটো মিলমালিকরা প্রতি ৫০ কেজির চালের বস্তা ৪০০-৫০০ টাকা লোকসানে বিক্রি করছেন। কয়েকটি অটোরাইস মিলমালিকদের গুদামে মজুদ রাখা শত শত মেট্রিক টন চাল বিক্রি করতে না পারায় ওই চালের অধিকাংশে পচন ধরেছে। এ সব মিল মালিকরা ব্যাংক ঋণ নিয়ে শঙ্কার মধ্যে দিন কাটাচ্ছেন। জানা যায়, গত বোরো মৌসুমের শুরুতে এই মিল মালিকরা বর্তমান বাজারের চেয়ে উচ্চ মূল্যে ধান নিয়ে ক্রাশিংয়ের পর গুদামে চাল সংরক্ষণ করেন। তাদের ক্রয় করা ধান ক্রাশিংয়ের দেখা যায় বর্তমান বাজার মূল্যের চেয়ে মিলমালিকদের চালের খরচ অনেক বেশি পড়েছে। উপজেলার সান্তাহারের ঢাকা রোড সংলগ্ন সালমান অটোচাল কলের মালিক লোকসান দিয়ে বিক্রির পরও তার গুদামে ৫০০-৬০০ মেট্রিক টন চাল অবিক্রীত রয়েছে। ওই চালের খামালের নিচের বস্তাগুলোতে পচন ধরে প্রায় ২০০-৩০০ মেট্রিক টন চাল নষ্ট হয়ে গেছে। ওই এলাকার আরও দুই তিনজন অটোমিল মালিক জানান, তাদের গুদামেও অবিক্রীত চাল নষ্ট হচ্ছে।

সালমান অটোরাইস মিলের মালিক মাসুম বিল্লাহ বলেন, ২০১৭ সালের নভেম্বর থেকে ২০১৮ সালের জানুয়ারি পর্যন্ত প্রক্রিয়াজাত করা চাল ২০ হাজার বস্তা। বিনা-৭ ধান থেকে ক্রাশিং করে মজুদ রাখা এ চালের মূল্য বর্তমান বাজারে পাঁচ কোটি টাকার অধিক। একই সঙ্গে বিআর-৪৯, ১৮ হাজার বস্তা ধান ক্রাশিং করে মজুদ রাখা হয়। যার বাজার মূল্য প্রায় ৪ লাখ ৬৮ হাজার টাকা। এই চাল অবিক্রীত থেকে গেছে। মাসুম বিল্লাহ ছাড়াও কয়েকজন অটোরাইস মিলমালিক জানান, দেশে পর্যাপ্ত পরিমাণ চাল উৎপাদন হওয়া সত্ত্বেও ভারত থেকে আমদানি করায় বাংলাদেশের বাজারে অস্থিরতা তৈরি হচ্ছে। ব্যবসায়ীরা জানান, ব্যবসা মান্দার কারণে ব্যাংকের কোটি কোটি টাকা ঋণ পরিশোধ নিয়ে বেকায়দায় পড়েছেন তারা। সরকার মালিকদের প্রতি নজর না দিলে তারা আর্থিকভাবে চরম ক্ষতিগ্রস্ত হবেন।

সর্বশেষ খবর