বৃহস্পতিবার, ১০ অক্টোবর, ২০১৯ ০০:০০ টা

জরাজীর্ণ ভবনে চলছে কার্যক্রম

দুপচাঁচিয়া প্রধান পোস্ট অফিস

নিজস্ব প্রতিবেদক, বগুড়া

জরাজীর্ণ ভবনে চলছে কার্যক্রম

৯ অক্টোবর বুধবার দেশের বিভিন্ন স্থানের মতো বগুড়ার দুপচাঁচিয়া উপজেলায় বিশ্ব ডাক দিবস পালিত হয়। দিবসটি পালিত হলেও উপজেলা সদরের প্রধান ডাকঘরটি দীর্ঘদিন সংস্কার না করায় জরাজীর্ণ ভবনে ঝুঁকি নিয়ে চলছে কার্যক্রম। পলেস্তারা খুলে পড়ছে। ভবনটি পরিত্যক্ত ঘোষণা করা হলেও সেই ভবনেই চলছে ডাক বিভাগের কাজ। 

জানা যায়, বগুড়া জেলার বৃহত্তর উপজেলার মধ্যে দুপচাঁচিয়া উল্লেখযোগ্য। ব্যবসা-বাণিজ্যের দিক থেকে উপজেলাটি সু-প্রতিষ্ঠিত। একই সঙ্গে যোগাযোগ ব্যবস্থাও উন্নত। দেশের বিভিন্ন কর্মকান্ডের সঙ্গে গতিশীল রেখে উপজেলা প্রশাসনের কাঠামোর ব্যাপক পরিবর্তনের সঙ্গে দুপচাঁচিয়া উপজেলার প্রধান পোস্ট অফিসটি কাঠামোগত ব্যাপক পরিবর্তন ঘটে। ১৯৮৫ সালে ডাক বিভাগের নিজস্ব অর্থায়নে উপজেলা সদরের পূর্বপাড়াস্থ পুরাতন মাটির ডাক ভবনটি ভেঙে পাকা এমারত তৈরি করা হয়। পোস্ট অফিসের প্রশাসনিক কাজে ফিরে আসে গতিশীলতা। প্রতি মাসে গড়ে প্রায় সাধারণ সঞ্চয় ও মেয়াদি সঞ্চয় দেড় কোটি টাকা ও সঞ্চয়পত্র বিক্রয় করে প্রায় ২ থেকে আড়াই কোটি টাকা রাজস্ব আয় করে থাকে। বিপুল রাজস্ব আয়ের এই ডাক বিভাগটি সার্বিক উন্নয়ন না হওয়ায় কর্মকর্তাদের সঙ্গে ডাক বিভাগের সেবাগ্রহিতারাও দুুুর্ভোগ পোহাচ্ছে।

বুধবার সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, দীর্ঘদিনের নির্মিত নতুন এই ভবনটির অবস্থা করুণ। ভবনটি দীর্ঘদিন সংস্কার না করায় দেয়ালের বিভিন্ন জায়গায় ফাটল ধরেছে। ছাদের ও ছাদের বীমের প্লাস্টার উঠে গিয়ে রডগুলো কঙ্কালের মতো বের হয়ে পড়েছে। অফিস সংলগ্ন পোস্ট মাস্টারের বাসভবনটির অবস্থা একই। প্রায় ১ দশক আগে এই অফিসসহ বাসভবনটি পরিত্যক্ত ঘোষণা করা হয়েছে।

পোস্ট অফিস ভবনটির ছাদের প্লাস্টার উঠে যাওয়ায় বৈদ্যুৎতিক ফ্যানগুলো খুলে রাখা হয়েছে।

পোস্ট অফিসটি গুরুত্বপূর্ণ লেনদেন এসবি সঞ্চয়পত্র ও এফডি যাতে প্রতিদিন গড়ে প্রায় ১০ থেকে ১৫ লাখ টাকা আদান-প্রদান হয়ে থাকে। এ ছাড়াও তথ্যপ্রযুক্তির আওতায় ছয় মাসের কম্পিউটার প্রশিক্ষণ কার্যক্রমও চালু রয়েছে। প্রায় ২৫ থেকে ৩০ জন ছাত্র-ছাত্রী প্রশিক্ষণ গ্রহণ করছে। বৃষ্টির পানি থেকে রক্ষার জন্য গুরুত্বপূর্ণ কম্পিউটার ও অন্যান্য জিনিসপত্র আকাশে মেঘ দেখলেই পলিথিন দিয়ে ঢেকে রাখা হচ্ছে।

উপজেলার এই পোস্ট অফিসটি সরকারের রাজস্ব আয়ের একটি বড় উৎস। অথচ তা পড়ে রয়েছে অবহেলায়। বগুড়া ডেপুটি পোস্টমাস্টার জেনারেল মো. আনোয়ার হোসেন জানান, দুপচাঁচিয়া উপজেলার ভবনটি পুরাতন। সংস্কার প্রয়োজন।

তা ছাড়া ডাক বিভাগের জরাজীর্ণ ডাকঘর নির্মাণ প্রকল্পের আওতায় কর্মকর্তা যারা রয়েছেন তাঁরা বিষয়টি নিয়ে কাজ করছেন।

সর্বশেষ খবর