গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার ডুবাইল এলাকার ঢালজোড়া মৌজায় ১৪ একর ভূমিতে স্থাপিত ইটখলা প্রভাবশালীরা দখল করে রেখেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। দখলের শিকার ইটখলার মালিক মো. সিরাজ উদ্দিনের স্ত্রী রাশিদা বেগম, ভাগিনা আক্তার হোসেন ও শ্যালক রিয়াজ উদ্দিন গতকাল দুপুরে গাজীপুর প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করেন। দখলে অভিযুক্তরা হলেন-একই উপজেলার লতিফপুর গ্রামের হাজী নেহাজ উদ্দিনের ছেলে ইছাম উদ্দিন, পোড়া টেংগর গ্রামের বছির উদ্দিনের ছেলে আবু বক্কর ছিদ্দিক, পীরের টেকি গ্রামের মিছিল উদ্দিনের ছেলে রফিকুল ইসলাম, শেওড়াতলী গ্রামের অজিত কুমার সাহার ছেলে সঞ্জয় কুমার সাহা বাপ্পী। লিখিত বক্তব্য, পুলিশ প্রতিবেদন উপস্থাপন করে পরিবারের সদস্যরা জানান, সিরাজ উদ্দিন ২০১৪ সালে ঢালজোর মৌজার ডুবাইল এলাকার ১৫ জন জমির মালিকের কাছ থেকে ১৪ একর ভূমি ভাড়া নিয়ে পরিবেশ ছাড়পত্র শিল্প মন্ত্রণালয়ের অনুমতিসাপেক্ষে এনআরএস ব্রিকস নামে (জিক-জ্যাক) ইটখলা প্রতিষ্ঠা করেন। এর বিপরীতে সিরাজ উদ্দিন কারখানায় উৎপাদন শুরুর করতে এনআরবিসি ব্যাংক লিমিটেড থেকে ৮৫ লাখ টাকা ও স্থানীয় জংসের নামে এক ব্যক্তির কাছ থেকে এবি ব্যাংকের হিসাব চেকে স্বাক্ষরের বিনিময়ে পাঁচ লাখ টাকা ঋণ নেন। পরে সিরাজ উদ্দিন নগদে জংসেরকে পাঁচ লাখ টাকা ঋণ পরিশোধ করে। কিন্তু কৌশলে জংসের তার চেকটি পরবর্তীতে ফেরত দেওয়ার কথা বলে অভিযুক্তদের সঙ্গে আঁতাত করে তা আর ফেরত দেয়নি। পরে ওই চেক এবি ব্যাংক থেকে প্রত্যাখ্যানের মামলায় আদালতের মাধ্যমে ২০১৫ সালে জেলহাজতে পাঠায়। সেখানে ৬ মাস হাজতবাসের পর সিরাজ উদ্দিন মুক্তি পান। ওই হাজতবাসকালীন অভিযুক্তরা সিরাজ উদ্দিনের ভাগিনা পরিবারের পক্ষে ইটখলার ব্যবসা পরিচালনা করেন। ওই সময়ে অভিযুক্তরা সিরাজ উদ্দিনের ভাগিনা আক্তার হোসেনকেও মিথ্যা ঘটনা সাজিয়ে আদালতে মামলা দায়ের ও পুলিশি ধাওয়ায় তাকে ভয়ভীতি দেখিয়ে এলাকাছাড়া করে। এ সময় ইটখলায় উৎপাদিত কমপক্ষে সাত কোটি টাকার ইট ও সরঞ্জামাদি ছিল। ২০১৬ সালের মাঝামাঝি সময়ে অভিযুক্তরা স্থানীয় পেশীশক্তি নিয়ে ইটখলা জবরদখল করে। অভিযুক্তরা এসএসবি নামে ইটখলার নাম পরিবর্তন করে। এ ঘটনায় ২০১৭ সালে অভিযুক্তদের নামে গাজীপুর আদালতে মামলা দায়ের করেন। গাজীপুর জেলার পিবিআই (পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন) মামলার তদন্ত কর্মকর্তা উপ-পুলিশ পরিদর্শক (এসআই) মোশারফ হোসেন স্বাক্ষরিত প্রতিবেদনে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দায়ের করেন। আদালত গত অক্টোবর মাসে অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারের নির্দেশ দেন। অভিযুক্তদের পক্ষে ইছাম উদ্দিন জানান, পুলিশ মিথ্যা প্রতিবেদন করেছে। ইটখলার সঙ্গে আমার কোনো সম্পৃক্ততা নেই।