রবিবার, ১৩ অক্টোবর, ২০১৯ ০০:০০ টা

কীটনাশকে পুড়েছে আমন খেত

পরস্পরকে দোষারোপ চাষি-ডিলারের

চাঁপাইনবাবগঞ্জ প্রতিনিধি

কীটনাশকে পুড়েছে আমন খেত

কীটনাশকে পুড়ে যাওয়া খেত -ফাইলফটো

চাঁপাইনবাবগঞ্জের নাচোলে খেতে কীটনাশক ব্যবহারের পর এক বর্গাচাষির প্রায় সাড়ে ৭ বিঘা আমন ধানের গাছ পুড়ে গেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ নিয়ে বর্গাচাষী এবং কীটনাশক ডিলার পরস্পরকে দোষারোপ করছেন। ঘটনাটি ঘটেছে নাচোল উপজেলার মধ্য কালইর গ্রামে। বিষয়টি থানা পুলিশ পর্যন্ত গড়িয়েছে।

জানা যায়, কালইর মৌজার সাড়ে ৭ বিঘা ধানী জমির মূল মালিক চাঁপাইনবাবগঞ্জের পঠানপাড়ার সেতাব উদ্দীনের ছেলে সিরাজউদ্দীন। চলতি আমন মৌসুমে ওই জমি বর্গা চাষ করেন মধ্য-কালইর গ্রামের আবতাব উদ্দিনের ছেলে আলাউদ্দীন। প্রায় ২৫ দিন আগে আলাউদ্দীন একই গ্রামের মেসার্স আবু বাক্কারের দোকান থেকে কীটনাশক কিনে তার জমিতে স্প্রে করেন। ওই ওষুধ ছিটানোর ২-৩ দিন পর ধানের গাছ পুড়ে যেতে শুরু করে। বিষয়টি আলাউদ্দীন অন্য কৃষক এবং কীটনাশক ডিলারকে জানান। ক্ষতিগ্রস্ত বর্গাচাষি আলাউদ্দীনের অভিযোগ, ভেজাল কীটনাশক প্রয়োগের কারণেই তার খেত পুড়ে গেছে। অপরদিকে কীটনাশক বিক্রেতা আবু বাক্কার বলছেন, অতিমাত্রায় অথবা ঘাস মারা কীটনাশক ব্যবহারের ফলে এ ধরনের ঘটনা ঘটতে পারে। বিষয়টি জানার পর নাচোল উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা বুলবুল আহাম্মেদ, উপসহকারী কর্মকর্তা রাকিব আলীসহ অন্য কর্মকর্তারা সম্প্রতি ক্ষতিগ্রস্ত ধানখেত পরিদর্শন করেন। স্থানীয়ভাবে আবু বাক্কার ও আলাউদ্দীন এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিদের নিয়ে সমঝোতায় বসলেও সুরাহা হয়নি। শেষ অবধি থানা পুলিশ পর্যন্ত গড়িয়েছে। নাচোল উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা বুলবুল আহম্মেদ বলেন, ঘটনাটি শুনে ওই এলাকার উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা রাকিব আলীকে ক্ষতিগ্রস্ত ধান পরিদর্শনে পাঠিয়েছিলাম। তিনি বিষয়টি তদন্ত করছেন। তদন্ত রিপোর্ট পেলে দোষীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর