বুধবার, ২৩ অক্টোবর, ২০১৯ ০০:০০ টা

ক্ষতিপূরণ দিয়ে কাজ শুরুর দাবি

সিরাজগঞ্জ ইকোনোমিক জোন

আব্দুস সামাদ সায়েম, সিরাজগঞ্জ

সিরাজগঞ্জ বেসরকারি ইকোনোমিক জোনের জন্য অধিগ্রহণ করা ভূমি, বসতভিটা, ফসল ও গাছপালার ক্ষতিপূরণের টাকা দিয়ে কাজ শুরুর দাবি জানিয়েছেন ভূমি মালিকরা। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ ক্ষতিপূরণ না দিয়েই উচ্ছেদসহ মাটি ভরাটের সিদ্ধান্ত হয়েছে- এমন অভিযোগের প্রেক্ষিতে ভূমি মালিকরা ওই দাবি তুললেন। জানা যায়, সিরাজগঞ্জ সদরের সয়দাবাদ ও বেলকুচি উপজেলার রাজাপুর ইউনিয়নে সিরাজগঞ্জ ইকোনোমিক জোন করার সিদ্ধান্ত হয়। সয়দাবাদ ও রাজাপুর ইউনিয়নের পাঁচটি মৌজার ১০.৩৫ একর জমি অধিগ্রহণ করা হয়। শুরুতেই উদ্যোক্তাদের পক্ষ থেকে জোনের পরিচালক শেখ মনোয়ার হোসেন ভূমি মালিকদের জমিজমা বসতভিটাসহ ফসল ও গাছপালার ক্ষতিপূরণ ও ক্ষতিগ্রস্তদের ইকোনোমিক জোনে চাকরির আশ্বাস দেন। ভূমি অধিগ্রহণের জন্য সিরাজগঞ্জ জেলা প্রশাসনকে দায়িত্ব দেওয়া হয়। সে মতে, প্রায় ২ হাজার ২০০ ভূমি মালিক ক্ষতিপূরণ চেয়ে জেলা প্রশাসক বরাবর বসতভিটা ও জমির কাগজপত্র  জমা দেন। একাধিক ভূমি মালিক জানান, আমরা নদী তীরের বাসিন্দা। প্রতিবছর ভাঙন-বন্যার সঙ্গে যুদ্ধ করে বেঁচে আছি। আমাদের মতো অসহায়-দরিদ্র মানুষ ক্ষতিপূরণ না পেলে পথে বসতে হবে। ইকোনোমিক জোনের পরিচালক শেখ মনোয়ার হোসেন জানান, প্রকল্পটি সুন্দরভাবে বাস্তবায়নের জন্য ভূমি অধিগ্রহণের প্রায় ৩০০ কোটি টাকা জেলা প্রশাসনের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। নিয়ম অনুযায়ী জেলা প্রশাসন ক্ষতিপূরণের টাকা ভূমি মালিকদের প্রদান করবে। অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) চৌধুরী মো. গোলাম রাব্বী ও ভূমি অধিগ্রহণ কর্মকর্তা তানজীল পারভেজের কাছে কতজন-কি পরিমাণ ক্ষতিপূরণ পেয়েছে জানতে চাইলে আবেদন ছাড়া তথ্য দিতে অপারগতা প্রকাশ করেন।

সর্বশেষ খবর