শুক্রবার, ২৫ অক্টোবর, ২০১৯ ০০:০০ টা

হাঙ্গামায় আহত ৮, গুলিবিদ্ধ ২

লাকসাম প্রতিনিধি

কুমিল্লার নাঙ্গলকোটের বাঙ্গড্ডা উত্তরপাড়া গ্রামে গতকাল ভোরে পুলিশ আসামি ধরতে গেলে উদ্ভূত হাঙ্গামায় ৮ জন আহত হয়। এর মধ্যে পুলিশের ৩ সদস্য রয়েছে। আহতদের মধ্যে দুজন গুলিবিদ্ধ। জানা যায়, এএসআই আবদুর রহিমের নেতৃত্বে নাঙ্গলকোট থানা পুলিশের একটি দল মো. সোহাগ (২৮) নামে এক আসামিকে ধরতে যায়। সোহাগ জানান, তিনি জামিনে আছেন। পুলিশ জামিননামা দেখতে চাইলে তা দেখানো হয়। তবুও তাকে হাতকড়া পরানোর চেষ্টা করে পুলিশ। এই নিয়ে বাকবিতন্ডা ও হৈচৈ শুরু হলে আসামির বাড়ির পার্শ্ববর্তী লোকজন এসে জড়ো হয়। তারা পুলিশের ওপর ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে। একপর্যায়ে পুলিশ গুলি চালায়। এতে সোহাগের ভাই অটোরিকশাচালক ফারুক হোসেন (২৩) ও পাশের বাড়ির পঞ্চম শ্রেণির ছাত্র রাকিব (১১) গুলিবিদ্ধ হয়। এছাড়া পুলিশের মারপিটে সোহাগের মা দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী রুপিয়া বেগম (৫৫), বড় ভাই শাহিন মিয়া (২৮) ও স্ত্রী ফাতেমা বেগম (২২) আহত হন। গুলিবিদ্ধদের ভর্তি করা হয়েছে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। অভিযোগ উঠেছে, গুলিবিদ্ধ ফারুক ও রাকিবকে হাসপাতালে নেওয়ার কথা বলে অটোরিকশায় তুলেছিল পুলিশ। কিছুদূর গিয়ে তাদের ফেলে দিয়ে চলে যেতে চাইলে স্থানীয়রা ধাওয়া করে এবং এএসআই আবদুর রহিম ও দুই পুলিশকে আটকে রাখে। স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য খোরশেদ আলম বলেন, তিনি খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে এসে দেখেন দুজন গুলিবিদ্ধ। লোকজন দুই পুলিশকে আটকে রেখেছে। ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তারা এসে পুলিশ সদস্যদের উদ্ধার করে নিয়ে যান। পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) আশ্রাফুল ইসলাম আহতদের চিকিৎসার জন্য ৫ হাজার টাকা দিয়েছেন।

আশ্রাফুল ইসলাম বলেন, সোহাগের বিরুদ্ধে কয়েকটি মামলা রয়েছে। পুলিশ তাকে ধরতে গেলে জনতা ‘ডাকাত ডাকাত’ বলে চিৎকার দেয় এবং পুলিশকে ধাওয়া করে। এ সময় এক পুলিশ সদস্যের অস্ত্র ধরে টানাহেঁচড়া করলে বন্দুকের গুলি ছুটে দুজন জখম হয়েছে। তারা এখন আশঙ্কামুক্ত। তাদের চিকিৎসার খরচ পুলিশ বহন করবে। তিনি জানান, একটি তদন্ত কমিটি গঠনের প্রক্রিয়া চলছে।

সর্বশেষ খবর