বুধবার, ৩০ অক্টোবর, ২০১৯ ০০:০০ টা

ঝিনাইদহ-যশোর মহাসড়কের ‘বিষফোঁড়া’ ভাঙা তিন সেতু

ঝিনাইদহ প্রতিনিধি

ঝিনাইদহ-যশোর মহাসড়কের ‘বিষফোঁড়া’ ভাঙা তিন সেতু

ঝিনাইদহ-যশোর মহাসড়কের ‘বিষফোঁড়া’ কালীগঞ্জ উপজেলায় ক্ষতিগ্রস্ত তিনটি সেতু। ব্যস্ততম ও জনগুরুত্বপূর্ণ মহাসড়কটি দিয়ে প্রতিনিয়ত চলাচল করে খুলনা ও বেনাপোল স্থলবন্দরের সঙ্গে ঢাকা, রাজশাহীর যাত্রী এবং পণ্যবাহী গাড়ি। মহাসড়কে তিনটি ভাঙা সেতুর কারণে ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে যাত্রী-পরিবহন শ্রমিকদের। জানা যায়, ঝিনাইদহ-যশোর মহাসড়কের ছালাভরা নামক স্থানে সেতুটির দুই পাশেই ফাটল ও ধসে গেছে। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে প্রতিদিন এ সেতু দিয়ে শত শত লোক চলাচল করলেও তাদের দুর্ভোগের শেষ নেই। এ সেতুর কারণে এক দিকে যেমন যানজট সৃষ্টি হচ্ছে, তেমনি রয়েছে বড় ধরনের দুর্ঘটনার আশঙ্কা। অপরদিকে মোবারকগঞ্জ চিনি কলের পাশের সেতুটির সংস্কার কাজ দীর্ঘ ১০ মাসেও সম্পন্ন না হওয়ায় প্রতিদিন সেখানে ঘটছে দুর্ঘটনা। এই সেতুর দুই পাশে যখন যানজট দেখা দেয় তা ছড়িয়ে পড়ে ১২-১৪ কিলোমিটার। তাছাড়া সেতুর এক পাশে সড়ক খুঁড়ে রাখায় ভোগান্তি আরও বেড়েছে।

একই চিত্র ঝিনাইদহ-যশোর সড়কের হামদহ সদর হাসপাতাল গেটের সামনের সেতুটির। এই সেতুতে প্রায় পাঁচ মাস আগে ফাটল দেখা দিয়েছে। ফাটলের কারণে সড়ক বিভাগ দুই সপ্তাহ ধরে সেতুটির এক পাশ বন্ধ করে দিয়েছে। ফলে সেখানে প্রতিনিয়ত সৃষ্টি হচ্ছে দীর্ঘ যানজট। এর প্রভাবে ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালের সামনে যানজট লেগেই থাকে। স্থানীয়রা জানান, এই তিনটি ব্রিজ প্রায় ১৫ বছর আগে নির্মাণ করা হয়েছিল। ব্যস্ততম সড়ক হওয়ার কারণে এবং ভারী যানবহন চলাচল করায় ফাটল ও ধসে গেছে। তারা অভিযোগ করেন, স্থানীয় সড়ক ও জনপথ বিভাগের (সওজ) গাফিলতি ও উদাসীনতার কারণে সাধারণ মানুষ  দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন। দ্রুত সময়ের মধ্যে নতুন করে ব্রিজ নির্মাণেরও দাবি জানিয়েছেন তারা। ঝিনাইদহ সওজ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী জিয়াউল হায়দার জানান, ক্ষতিগ্রস্ত ব্রিজ তিনটির ব্যাপারে উপর মহলকে জানানো হয়েছে। আশা করছি দ্রুতই সমস্যা সমাধান হবে।

সর্বশেষ খবর