বৃহস্পতিবার, ৩১ অক্টোবর, ২০১৯ ০০:০০ টা

মাদারীপুরের আতঙ্ক ‘গ্যাং কালচার’

ঘটছে একের পর এক খুন

মাদারীপুর প্রতিনিধি

মাদারীপুরের দিন দিন ভয়ঙ্কর হয়ে উঠছে কিশোরদের ‘গ্যাং কালচার’। স্কুল-কলেজের গন্ডি পেরোনোর আগেই কিশোরদের একটা অংশের বেপরোয়া আচরণ মাদারীপুরবাসীর আতঙ্কের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। অভিযোগ আছে, এই গ্যাং কালচারের প্রভাবে জেলায় একাধিক খুনের ঘটনা ঘটেছে।

জানা যায়, মাদারীপুর শহরের বিভিন্ন এলাকা দাপিয়ে বেড়াচ্ছে কমপক্ষে চারটি গ্রুপ। এ সব গ্রুপের সদস্যরা দলবদ্ধভাবে শহরের ডনোভান বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, সামসুন্নাহার ভুইয়া বালিকা বিদ্যালয়সহ কয়েকটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সামনে দাঁড়িয়ে কিশোরীদের উত্ত্যক্ত করেন। একেকটি গ্রুপে ১০-৫০ জন সদস্য রয়েছেন। এ সব সদস্য ইভ টিজিং, মহল্লাভিত্তিক বখাটেপনা, মাদক সেবন, এলাকায় প্রভাব বিস্তার, দ্রুতগতিতে মোটরসাইকেল চালানোসহ, পরিকল্পিত হত্যায় অংশ নিচ্ছে। ঘটাচ্ছে ধর্ষণের মতো ঘটনাও। গত মঙ্গলবার রাতে মাদারীপুর শহর থেকে সোহান শেখ (১৪) নামে এক কিশোরের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। তার বাবা হাবিব শেখের দাবি, তাকে কিশোর গ্যাং গ্রুপ হত্যা করেছে। কিশোর মাদারীপুর ইউআই স্কুলের নবম শ্রেণির ছাত্র। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, মঙ্গলবার বিকালে বাসা থেকে বের হন সোহান। সন্ধ্যায়ও তার সন্ধান না পেয়ে খোঁজাখোঁজি করতে থাকেন স্বজনরা। রাত ১০টার দিকে একটি ভবনের পাশে রক্তাক্ত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক মৃত্যু ঘোষণা করেন। ঘটনাস্থালের আসপাশের সিসি টিভির ভিডিও ফুটেজ সংগ্রহ করা হয়েছে। ফুটেজে ঘটনাস্থলে একাধিক কিশোরকে দেখা গেছে। এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ১৪ জনকে আটক করেছে পুলিশ। কয়েক মাস আগে শহরের সবুজবাগে এরশাদ নামে এক যুবক খুন হন। এই হত্যাকা-ও এলাকায় প্রভাব বিস্তারের কারণে হয়েছে বলে জানা গেছে। মাদারীপুর সচেতন নাগরিক কমিটির সদস্য এনায়েত হোসেন নান্ন বলেন, ‘কিশোর অপরাধ বেড়েছে। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে অনুরোধ করবো এই গ্যাং কালচার বন্ধ করার জন্য। সদর থানার ওসি জানান, কিশোর অপরাধ নিয়ে কাজ করার জন্য অফিসিয়াল নির্দেশনা রয়েছে। সেই নির্দেশনা মোতাবেক আমরা কাজ করছি। সোহান নিহতের বিষয়টি নিয়ে পুলিশ তদন্ত করেছে।

সর্বশেষ খবর