বাঞ্ছারামপুরে বিলের কচুরিপানার নিচ থেকে রাফি নামে এক শিশুর লাশ উদ্ধারের ঘটনার রহস্য উদঘাটনের দাবি করেছে পুলিশ। তাদের পক্ষ থেকে বলা হয়, হতাশা থেকে রাফিকে হত্যার পর তার মা বিলে লাশ ফেলে দেয়। শিশুটির মাকে আটকের পর আদালতে হাজির করলে তিনি স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। ব্রাহ্মণবাড়িয়া পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে গতকাল এ তথ্য জানানো হয়। পুলিশ সুপার আনিসুর রহমান জানান, লাশ উদ্ধারের পর পুলিশ রাফির মা সেনোয়ারাকে আটক করে। সেনোয়ারা পুলিশকে জানায়, তাদের ঘরে ফাহিম (৬) ও রাফি আড়াই বছরের ছেলে সন্তান ছিল। তার স্বামী ছয় লাখ টাকা ঋণ করে সৌদি আরব যান। এরই মধ্যে ছোট ছেলে রাফির বিরল রোগ দেখা দেয়। রাফি কোনো স্থানে আঘাত পেলে কালসিটে হয়ে যেত ও কোনো স্থান কেটে গেলে রক্ত বন্ধ হতো না। এই রোগের চিকিৎসা ব্যয়বহুল। বিদেশ যাওয়ার সময় নেওয়া ঋণ স্বামীর পরিশোধ করতে পারছিলেন না। এই হতাশা থেকে বুধবার ভোরে রাফিকে কোলে করে বালিয়াদহ বিলে কাছে নিয়ে শ্বাসরোধে হত্যা করে বিলে ফেলে দেই।
বাড়ি ফিরে অচেতন হয়ে যান সেনোয়ারা। পরিবারের সদস্যরা জানান, জ্ঞান ফিরে এলে রাফিকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না।