৬ বছর পর আগামী ১৬ নভেম্বর বগুড়া শহর আওয়ামী লীগের সম্মেলন। সম্মেলনে মনোনয়ন উত্তোলন ও প্রত্যাহারের পর সভাপতি পদে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হতে চলেছেন বর্তমান আহ্বায়ক কমিটির আহ্বায়ক রফি নেওয়াজ খান রবিন। সাধারণ সম্পাদক পদে চারজন মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। দলীয় সূত্রে জানা গেছে, কাউন্সিলর তালিকায় অনিয়মের কারণে পৌর আওয়ামী লীগের সম্মেলন স্থগিত করে ২০১৩ সালের নভেম্বরে। এর পর আহ্বায়ক কমিটি গঠিত হয়। আহ্বায়ক করা হয় জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও সভাপতি রফি নেওয়াজ খান রবিনকে এবং যুগ্ম আহ্বায়ক করা হয় শাহাদৎ হোসেন শাহীন, মিজানুর রহমান বকুল, শেখ শামীম, ওবায়দুল হাসান ববি, সুলতান মাহমুদ খান রনি ও এ্যাডনিস তালুকদার বাবুকে। গত ৬ বছর আহ্বায়ক কমিটি দিয়েই চলছে গুরুত্বপূর্ণ এই ইউনিটের কাজ। এবার এই ইউনিটের সম্মেলন করে পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন হতে যাচ্ছে। সম্মেলন সফল করতে সার্বিক প্রস্তুতি নিয়েছেন সংগঠনের শীর্ষ নেতারা।
সাধারণ সম্পাদক পদে প্রার্থী হতে মনোনয়ন পত্র জমা দিয়েছেন আবু জাফর মো. মাহমুদুন্নবী রাসেল, শেখ শামীম, ওবায়দুল হাসান ববি ও শাহাদৎ হোসেন শাহীন।
শহর আওয়ামী লীগের সম্মেলন প্রস্তুত কমিটির সদস্য জেলা আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক সুলতান মাহমুদ খান রনি জানান, ৮ নভেম্বর ছিল মনোনয়নপত্র উত্তোলন ও জমা দেওয়ার শেষ দিন। এই দিন সভাপতি পদে ৪টি ও সাধারণ সম্পাদক পদে ৪টি মনোনয়নপত্র জমা পড়ে। এরমধ্যে সভাপতি পদ থেকে অপর তিনজন মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করে নেয়। পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি প্রার্থী ও আহ্বায়ক রফি নেওয়াজ খান রবিন জানান, ২০১৪ সালের নির্বাচনের সময় বিএনপি জামায়াতের ভাঙচুর নাশকতা কর্মকান্ডের বিরুদ্ধে শহর আওয়ামী লীগ মাঠে সরব ছিল। পূর্ণাঙ্গ কমিটি হলে নেতাকর্মীদের মধ্যে আরও প্রাণচাঞ্চল্য ফিরে আসবে। বগুড়া শহর আওয়ামী লীগের সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে ১৬ নভেম্বর জেলা পরিষদ মিলনায়তনে।