বৃহস্পতিবার, ১৪ নভেম্বর, ২০১৯ ০০:০০ টা

আওয়ামী লীগে উত্তাপ দুই ভাইয়ের দ্বন্দ্বে

কামরুজ্জামান সোহেল, ফরিদপুর

আওয়ামী লীগে উত্তাপ দুই ভাইয়ের দ্বন্দ্বে

ফরিদপুর-২ (সালথা-নগরকান্দা) আসনে আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে সংসদ উপনেতা সৈয়দা সাজেদা চৌধুরীর দুই ছেলের দ্বন্দ্বে উত্তাপ ছড়াচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। ১৬ নভেম্বর এক পক্ষ সম্মেলনের তারিখ ঘোষণা করে। অপরপক্ষের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে সম্মেলন স্থগিত রাখার নির্দেশ দিয়েছে জেলা আওয়ামী লীগ। দুই পক্ষের পাল্টাপাল্টি অবস্থানের কারণে নেতা-কর্মী ও সমর্থকদের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছে।

জানা যায়, নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে সম্মেলন করার ঘোষণা দিয়েছেন সাজেদা চৌধুরীর ছোট ছেলে শাহদাব আকবর লাবুর সমর্থকরা। অন্যদিকে নগরকান্দা উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি ও সংসদ উপনেতার বড় ছেলে আয়মন আকবর বাবলু যেকোনো মূল্যে সম্মেলন ঠেকানোর প্রস্তুতি নিচ্ছেন। এ অবস্থায় মুখোমুখি অবস্থানে রয়েছে দুটি পক্ষ। স্থানীয়রা জানান, আয়মন আকবর বাবলু দীর্ঘদিন এলাকার রাজনীতিতে সক্রিয় ছিলেন। নগরকান্দা আওয়ামী লীগের সভাপতি হলেও তিনি সালথা উপজেলা নিয়ন্ত্রণ করতেন। তাকে নিয়ে এলাকায় সমালোচনা শুরু হলে সংসদ উপনেতা বাবলুকে সালথা-নগরকান্দার রাজনীতি থেকে সরিয়ে নেন। দায়িত্ব দেওয়া হয় ছোট ছেলে শাহদাব আকবর লাবুকে। লাবু দায়িত্ব নেওয়ার পর বড় ভাইয়ের সঙ্গে যারা রাজনীতিতে সম্পৃক্ত ছিলেন তাদের সরিয়ে দেন। লাবু আওয়ামী লীগের ত্যাগীদের বাদ দিয়ে বিএনপি-জামাত-জাতীয় পার্টির নেতাদের নিয়ে রাজনীতি শুরু করেন বলে অভিযোগ তোলেন অনেকে। এ নিয়ে দলীয় সভানেত্রী ও সাধারণ সম্পাদক বরাবর চিঠিও দেন নেতারা। দলীয় শৃঙ্খলা অমান্য করায় কেন্দ্র থেকে লাবুকে সতর্ক করা হয়। সালথা ও নগরকান্দা আওয়ামী লীগের সম্মেলন সামনে রেখে সম্প্রতি দলের মধ্যে আবার বিরোধ দেখা দেয়।

ফরিদপুর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সুবল চন্দ্র সাহা বলেন, ‘কেন্দ্রের নির্দেশে সালথা ও নগরকান্দার সম্মেলন স্থগিত করা হয়েছে। দলে অনুপ্রবেশকারী ও বিতর্কিতদের নিয়ে সম্মেলন করা হচ্ছে-এমন অভিযোগ উঠায় সম্মেলন না করার জন্য তাদের সতর্ক করা হয়েছে। সালথা আওয়ামী লীগ সভাপতি দেলোয়ার হোসেন বলেন, ‘দলীয় গঠনতন্ত্র না মেনে এবং সভাপতিকে বাদ দিয়ে সম্মেলন করার প্রস্তুতি নেওয়ায় বিরোধিতা করা হয়েছে।’ নগরকান্দা আওয়ামী লীগ সভাপতি আয়মন আকবর বাবলু চৌধুরী বলেন, ‘দলের সভাপতি হয়েও তিনি সম্মেলনের খবর জানেন না। অনুপ্রবেশকারীদের নিয়ে একটি পক্ষ সম্মেলন করার চেষ্টা করছে।’ তিনি বলেন, সালথা-নগরকান্দায় যারা উপজেলা নির্বাচনে নৌকার বিরুদ্ধে ছিল তারা আওয়ামী লীগের ছায়াতলে থেকে প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে কথা বলছে। তাদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর এখনই সময়।’

সর্বশেষ খবর