শুক্রবার, ১৫ নভেম্বর, ২০১৯ ০০:০০ টা

ধান খেতে কারেন্ট পোকা সর্বস্বান্ত কৃষক

মাগুরা প্রতিনিধি

ধান খেতে কারেন্ট পোকা সর্বস্বান্ত কৃষক

মাগুরায় কারেন্ট পোকার আক্রমণে ক্ষতিগ্রস্ত ধান খেত -বাংলাদেশ প্রতিদিন

চলতি আমন মৌসুমে মাগুরার বিভিন্ন ধান খেতে দেখা দিয়েছে বাদামি গাছ ফড়িং (কারেন্ট পোকা)। এদের আক্রমণে ধান নষ্ট হওয়ায় সর্বস্বান্ত হয়ে পড়েছেন জেলার অন্তত ২ হাজার কৃষক। সদর উপজেলার মঘি, শত্রুজিৎপুর, কাটাখালী, সত্যপুর, তিতার খাঁ পাড়া, শেখপাড়া এলাকায় গিয়ে দেখা গেছে, প্রতিটি মাঠে কমপক্ষে ৪০ শতাংশ ধান খেতে কারেন্ট পোকার আক্রমণ হয়েছে।  কৃষকরা জানান, বাদামি গাছ ফড়িংয়ের আক্রমণের ভয়াবহ দিক হচ্ছে একদিনের মধ্যেই সব ধান বিনষ্ট হয়ে যায়। ঘরে তোলার মতো কিছু অবশিষ্ট থাকে না। মাগুরা সদর উপজেলার আলমখালী এলাকার উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মনির হোসেন জানান, লাইন সুইং পদ্ধতিতে ধান লাগালে ভিতরে আলো বাতাস প্রবেশ করে। সেক্ষেত্রে কারেন্ট পোকার আক্রমণের সম্ভাবনা কম থাকে। অধিকাংশ কৃষক সনাতন পদ্ধতিতে ধান রোপণ করায় আগাছা হয়, ভিতরে আলো প্রবেশ করে না। এছাড়া কারেন্ট পোকার আক্রমণের সঙ্গে সঙ্গে খেতের ধান কেটে ফেলতে হয়। নওগাঁয় ফলন বিপর্যয়ের আশঙ্কা : নওগাঁ প্রতিনিধি জানান, রাণীনগর উপজেলায় চলতি মৌসুমে আমন খেতে ব্লাস্ট রোগ ছড়িয়ে পড়ায় শত শত হেক্টর জমির শীষ মরে যাচ্ছে। ওষুধ ছিটিয়েও প্রতিকার না পাওয়ায় দিশেহারা হয়ে পড়েছেন কৃষকরা। চলতি মৌসুমে ফলন বিপর্যয়ের আশঙ্কা করছেন তারা।

 উপজেলার মালশন, বলিদাগাছী, গিরিগ্রাম, আকনা, বাঁশবাড়িয়া, ঝিনা, সিম্বা, রণসিংগার পাড়া, খট্টেশ্বর পশ্চিম, করজগ্রাম, কালীগ্রাম, জলকৈ, নারায়ণপাড়া, শরিয়াসহ বিভিন্ন এলাকায় শত শত হেক্টর জমির ধানের শীষ মরে যাচ্ছে। ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকরা জানান, বর্তমানে বাজারে ধানের সন্তোষজনক দাম নেই। এর উপর ব্লাস্টসহ বিভিন্ন রোগ জেঁকে বসেছে। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শহিদুল ইসলাম বলেন, আবহাওয়াজনিত কারণে কিছু জমিতে ব্লাস্ট রোগ দেখা দিয়েছে। তবে ক্ষতির আশঙ্কা নেই।

সর্বশেষ খবর