শনিবার, ১৬ নভেম্বর, ২০১৯ ০০:০০ টা

ভাল নেই গুচ্ছ গ্রামের ৩০০ পরিবার

লাকসাম (কুমিল্লা) প্রতিনিধি

ভাল নেই গুচ্ছ গ্রামের ৩০০ পরিবার

কুমিল্লার লাকসামে আশ্রয়ণ প্রকল্প ও গুচ্ছগ্রামের তিন শতাধিক পরিবার ভালো নেই। অবকাঠামোগত উন্নয়নসহ প্রয়োজনীয় সুযোগ-সুবিধা বঞ্চিত হয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছেন এখানকার বাসিন্দারা। সংশ্লিষ্টসূত্র জানায়, ২০১০-১১ এবং ২০১২-১৩ অর্থবছরে লাকসাম উপজেলার নরপাটি ও কৃষ্ণপুর গ্রামে দুটি আশ্রয়ণ প্রকল্প নির্মাণ করা হয়। ওই দুটি আশ্রয়ণ প্রকল্পে ১৭০টি পরিবার বসবাসের সুযোগ পেয়েছে। এ সব পরিবারে সদস্য সংখ্যা প্রায় ৯০০। অপরদিকে ২০১১-১২, ২০১২-১৩, ২০১৫-১৬ অর্থবছরে উপজেলার নরপাটি, সালেপুর, কাগৈয়া গ্রামে স্থাপিত হয় তিনটি গুচ্ছগ্রাম। ওই গুচ্ছগ্রামে ১৫০ পরিবার মাথা গোজার ঠাঁই পেয়েছে। এখানে প্রায় ৮০০ লোকের বসবাস। সরেজিমনে আশ্রয়ণ প্রকল্প ও গুচ্ছগ্রাম ঘুরে বাসিন্দাদের দুর্দশার চিত্র চোখে পড়ে। এখানে পর্যাপ্ত আলো-বাতাসের ব্যবস্থা নেই। সরকারি নীতিমালা অনুযায়ী প্রত্যেক পরিবারের জন্য স্বাস্থ্যসম্মত টয়লেট, গোসলখানা, আর্সেনিকমুক্ত টিউবয়েল থাকার নিয়ম রয়েছে। কিন্তু এখানে স্যানিটেশন ব্যবস্থা থাকলেও তা ব্যবহারের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। টিউবয়েলগুলো বেশিরভাগ অকেজো। আবাসন প্রকল্পগুলোতে কমিউনিটি সেন্টার, স্বাস্থ্য, শিক্ষা, কৃষি, ক্ষুদ্র ব্যবসা, হাঁস-মুরগি পালন, সমবায় পদ্ধতিতে মাছ চাষ, কুটির শিল্প ইত্যাদি সুবিধা নিশ্চিত করতে আর্থিক সুবিধা ও প্রতি পরিবারকে খাস জমি, বিনা সুদে ঋণ, ভিজিএফ কার্ড প্রদানের কথা। কিন্তু এ সব সুবিধা পায়নি এখানকার বাসিন্দারা। আশ্রয়ণ প্রকল্পের সভাপতি আবদুর রহমান বলেন, সরকার ভূমিহীনদের থাকার ব্যবস্থা করে দিয়েছে। তবে এখানকার বাসিন্দারা বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা থেকে বঞ্চিত। লাকসাম (পূর্ব) নরপাটি ইউপি চেয়ারম্যান আলী আহম্মদ বলেন, প্রয়োজনীয় সুযোগ-সুবিধা দেওয়ার জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ করেছি। লাকসামের ইউএনও একেএম সাইফুল আলম বলেন, আশ্রয়ণ ও গুচ্ছগ্রামের কোনো বাসিন্দা বঞ্চিত থাকলে তাদের সুযোগ-সুবিধার আওতায় আনা হবে।

সর্বশেষ খবর