শিরোনাম
রবিবার, ২৪ নভেম্বর, ২০১৯ ০০:০০ টা

বেড়ায় বাধাগ্রস্ত পানি প্রবাহ কমছে গভীরতা

গোপালগঞ্জের নদ-নদী

গোপালগঞ্জ প্রতিনিধি

বেড়ায় বাধাগ্রস্ত পানি প্রবাহ কমছে গভীরতা

গোপালগঞ্জ জেলার নদ-নদী ও খালে শত শত বেড়া (গাছের ডাল ও বাঁশ দিয়ে তৈরি) দিয়ে মাছ ধরার ফাঁদ তৈরির অভিযোগ উঠেছে। এতে নদী-খালের পানির স্বাভাবিক প্রবাহ বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। ভরাট হয়ে যাচ্ছে নদীর তলদেশ। মাছ ধরার ফাঁদগুলো প্রভাবশালীদের দখলে থাকায় নদী-খালে জেলেদের মাছ ধরা অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। জেলাবাসী সব নদী ও খালের বেড়া তুলে দিয়ে নদীরক্ষা এবং নিবন্ধিত জেলেদের মাছ ধরার সুযোগ সৃষ্টির দাবি জানিয়েছে। সরেজমিনে দেখা যায়, নদী বা খালের তীরে বসবাসকারী প্রভাবশালী লোকজন পছন্দমত স্থানে বিভিন্ন গাছের ডাল ফেলে তার চারদিকে বাঁশের বেড়া দিয়ে কাঠা (মাছ ধরার ফাঁদ) তৈরি করেছেন। প্রতি দুই মাস পর ওই কাঠা জাল দিয়ে বেড় দিয়ে মাছ ধরা হয়। স্থানীয় জেলেরা জানান, তারা নদীতে নিজেদের পছন্দমত স্থানে মাছ ধরতে পারেন না। নদীতে নামলে কাঠা দেওয়া লোকজন তাদের উঠিয়ে দেয়। গোপালগঞ্জ জেলা মৎস্য অধিদফতরের উপপরিচালক নারায়ণ চন্দ্র ম-ল বলেন, ‘মৎস্য অধিদপ্তরের নীতিমালা অনুযায়ী জাল যার জলাশয় তার। কিন্তু বাস্তবে এখানে তা নেই। এখানে টাকা যার, ক্ষমতা যার, জলাশয় তার। প্রতিবছর এই সময়টা নদী, খাল স্থানীয় প্রভাবশালীদের দখলে থাকে। জেলেরা মাছ ধরে দেওয়ার সুযোগ পায় মজুরির বিনিময়ে।’ তিনি আরও বলেন, ‘গোপালগঞ্জে প্রায় ১৭ হাজার নিবন্ধিত জেলে রয়েছেন। তারা নদী, খালে মাছ ধরার সুযোগ পেলে বাজারে দেশীয় মাছের অভাব থাকতো না।’ গোপালগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) নির্বাহী প্রকৌশলী বিশ্বজিৎ বিশ্বাস বলেন, গোপালগঞ্জ জেলার মধুমতি, কুমার মধুমতি, বাঘিয়ারসহ নদ-নদী ও খালে কম করে এক হাজার কাঠা দিয়েছে স্থানীয়রা। এ সব কাঠার কারণে নদীর স্বাভাবিক গতি বাধাগ্রস্ত হওয়ায় দিন দিন গভীরতা কমছে। জেলার সর্বত্র অভিযান চালিয়ে সব কাঠা উচ্ছেদ করা হবে।

সর্বশেষ খবর