শিরোনাম
মঙ্গলবার, ৩ ডিসেম্বর, ২০১৯ ০০:০০ টা

বাকিতে পাট বিক্রি করে পথে বসছেন ব্যবসায়ীরা

জামালপুর প্রতিনিধি

বাকিতে পাট বিক্রি করে পথে বসছেন ব্যবসায়ীরা

বাংলাদেশ পাটকল করপোরেশনের (বিজেএমসি) কাছে বাকিতে পাট বিক্রি করে বছরের পর বছর টাকা না পেয়ে পথে বসার উপক্রম হয়েছে জামালপুরের পাট ব্যবসায়ীদের। বিজেএমসির কাছে তাদের ৫০ কোটিরও বেশি টাকা আটকে থাকায় ব্যাংক ঋণ পরিশোধ করতে না পেরে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন অনেকে। কেউ আবার ব্যাংকের দেনা শোধ করতে বসতবাড়ি বিক্রি করে ব্যবসা গুটিয়ে নিয়েছেন। ন্যায্যমূল্যে পাট বিক্রি করতে না পেরে ক্ষতির শিকার হচ্ছেন চাষিরাও।  জামালপুর পাট ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলাম জানান, বিজেএমসির কাছে টাকা আটকে থাকায় পুঁজি সংকটে পাট কিনতে পারছেন না ব্যবসায়ীরা। ব্যাংকের ঋণ খেলাপি হয়ে অনেকে পালিয়ে রয়েছেন। একাধিক পাট ব্যবসায়ী সম্মান বাঁচাতে জমি ও গুদাম বিক্রি করে ঋণ শোধ দিয়ে ব্যবসাই ছেড়ে দিয়েছেন। এদিকে পাট বিক্রির ভরা মৌসুমেও এবার ন্যায্যমূল্যে পাট বিক্রি করতে পারছেন না চাষীরা। ব্যবসায়ীদের হাতে পর্যাপ্ত টাকা না থাকায় বেশি দামে পাট কিনছেন না তারা। ফলে পাটের উৎপাদন খরচও উঠছে না- এমন অভিযোগ চাষীদের। জামালপুর চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সিনিয়র সহসভাপতি ইকরামুল হক নবীন জানান, জেলার পাট ব্যবসায়ীদের টাকা বিজেএমসির কাছে পড়ে আছে। ফলে তারা ব্যাংক ঋণ পরিশোধ করতে না পারায় তাদের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। জামালপুর বিজেএমসির সহকারী পাট ক্রয় কর্মকর্তা জুয়েল রানা বলেন, ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে কেনা পাট সুদানে বিক্রি হওয়ার কথা ছিল। সে দেশে বিক্রি না হওয়ায় প্রচুর পাট মজুদ হয়ে গেছে। দেশের বাইরে পাট বিক্রি করতে না পারায় ব্যবসায়ীদের পাওনা টাকা পরিশোধ করা যাচ্ছে না। সরকারি বরাদ্দ পেলে এবং মজুদ পাট বিক্রি করতে পারলেই ব্যবসায়ীদের বকেয়া দ্রুত পরিশোধ করা হবে। জানা যায়, ছোট-বড় মিলিয়ে জামালপুরের পাঁচ শতাধিক ব্যবসায়ী সরাসরি পাট ব্যবসার সঙ্গে জড়িত। সেই সোনালী আঁশ ব্যবসায়ী এবং কৃষকের গলার ফাঁস হয়ে দাঁড়িয়েছে।

সর্বশেষ খবর