বৃহস্পতিবার, ৫ ডিসেম্বর, ২০১৯ ০০:০০ টা

ফসলি জমির মাটি যাচ্ছে ভাটায়

ভারসাম্য হারাচ্ছে পরিবেশ, কমছে উৎপাদন

প্রতিদিন ডেস্ক

ফসলি জমির মাটি যাচ্ছে ভাটায়

জমি থেকে মাটি কাটার পর ট্রাকে তোলা হচ্ছে

নওগাঁর রাণীনগরে ফসলি জমির মাটি কেটে বিক্রি করা হচ্ছে বিভিন্ন ইটভাটায়। এতে তিন ফসলি কৃষি জমি পরিণত হচ্ছে পুকুর ও জলাশয়ে। নষ্ট হচ্ছে পরিবেশের ভারসাম্য, কমছে উৎপাদন। দিন দিন কমছে কৃষিজমির পরিমাণ। রাণীনগর কৃষি অফিস সূত্র জানায়, ধান চাষে লোকসানের কারণে এ উপজেলার কৃষকরা ভাটা মালিকদের দ্বিগুণ অর্থের লোভের ফাঁদে পা দিয়েছে। তারা প্রতি গাড়ি (ট্রাক্টর) মাটি ৫০০ থেকে ৬০০ টাকায় বিক্রি করছেন। উপরিভাগ খনন করায় কমে যাচ্ছে ফসলি জমি। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শহিদুল ইসলাম বলেন, রাণীনগরে বাড়ছে জমির মাটি ভাটায় বিক্রির প্রবণতা। মাটি কেটে নিচু করার ফলে ফসলি জমির ব্যাপক ক্ষতি হয়। ঊর্বরা শক্তি কমে যায়। এ সব জমিতে আশানুরূপ ফলন হয় না। কৃষকরা না বুঝে অর্থের লোভে জমির স্থায়ী ক্ষতি করছেন। দ্রুত মাটি বিক্রি বন্ধ করতে না পারলে আশঙ্কাজনক হারে ক্ষতির মুখে পড়বে দেশের কৃষিখাত। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আল-মামুন বলেন, এ বিষয়ে লিখিতভাবে অভিযোগ পেলে জড়িতদের বিরুদ্ধে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কৃষি জমিতে ইটভাটা : গুরুদাসপুর উপজেলার ১৩টি ইটভাটায় ফসলি জমিতে স্থাপন করা হয়েছে। এরমধ্যে সাতটি পৌরসভার মধ্যে। পরিবেশ আইন অনুযায়ী পৌর এলাকায় কোনো ইটভাটা করা যাবে না। অথচ ছাড়পত্র ছাড়াই শতাধিক একর জমিতে চলছে ভাটার কার্যক্রম। এ সব ইটভাটার কারণে আশপাশের কৃষিজমিতে ফসলের উৎপাদন কমে গেছে। আম, লিচুসহ ফলদ বৃক্ষের ফলনও কমেছে। উপজেলা কৃষি অফিসসূত্র জানায়, প্রতিটি ইটভাটা গড়ে ৩০ বিঘা করে কৃষিজমি দখল করেছে। এ সব জমিতে রোপা, আমন, আউশ ও রবি ফসলের আবাদ হতো। কৃষি কর্মকর্তা আব্দুল করিম বলেন, ভাটা স্থাপনের সময় কৃষি অধিদপ্তরের কোনো মতামত নেওয়া হয়নি। গুরুদাসপুরের ইউএওনও জানান, নিয়ম না মানায় ইতোমধ্যে দুটি ইটভাটাকে জরিমানা করা হয়েছে।

সর্বশেষ খবর