শুক্রবার, ৬ ডিসেম্বর, ২০১৯ ০০:০০ টা

আশুগঞ্জে কমেছে ধান বেচাকেনা

চাতাল মালিকরা বলছেন চালের দাম কম, লোকসান গুনছেন ব্যবসায়ীরা

ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি

আশুগঞ্জে কমেছে ধান বেচাকেনা

আশুগঞ্জ মোকামে বিক্রির জন্য নিয়ে আসা ধান

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জ উপজেলার মেঘনা নদীর ভিওসি ঘাটের ধানের হাটকে বলা হয় পূর্বাঞ্চলের সবচেয়ে বড় মোকাম। প্রতিদিন এই মোকামে প্রায় ১ লাখ মণ ধান বেচাকেনা হয়। ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে এ ধান কেনেন চাতালকল মালিকরা। গত দুই সপ্তাহ ধরে এ মোকামে ধান বেচাকেনা অর্ধেকের নিচে নেমে এসেছে। লোকসান গুণতে হচ্ছে ধান ব্যবসায়ীদের। কারণ হিসেবে চালের দাম না বাড়ার কথা জনিয়েছেন চাতাল মালিকরা।

জানা যায়, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, কিশোরগঞ্জ, নেত্রকোনা, ময়মনসিংহ, সুনামগঞ্জ, সিলেট ও হবিগঞ্জসহ বিভিন্ন জেলার হাওরাঞ্চলে উৎপাদিত ধান কৃষক ও ব্যবসায়ীরা নৌপথে আশুগঞ্জ মোকামে নিয়ে আসেন। প্রতিদিন সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত চলে ধান বেচাকেনা। আশুগঞ্জের ২৫০ চাতালকলে ধানের জোগান দেয় এই মোকাম। সম্প্রতি মোকামে পর্যাপ্ত ধান থাকলেও দাম কম হওয়ায় কমেছে বিকিকিনি। আগে এখানে প্রতিদিন প্রায় ১ লাখ মণ ধান বেচাকেনা হলেও দুই সপ্তাহ ধরে মাত্র ২৫-৩০ হাজার মণ বিক্রি হচ্ছে। বর্তমানে আশুগঞ্জ মোকামে প্রতি মণ বিআর-২৮ ধান ৮৪০-৮৫০ ও বিআর-২৯ ধান বিক্রি হচ্ছে ৭৫০-৭৬০ টাকায়। আর বাজারে প্রতি বস্তা (৫০ কেজি) বিআর-২৮ চাল ১৬৫০ থেকে ১৭০০ ও বিআর-২৯ চাল বিক্রি হচ্ছে ১৫৮০ থেকে ১৬০০ টাকায়। মোকামে যে দামে ধান বিক্রি হচ্ছে ব্যবসায়ীরা এর বেশি দাম দিয়ে ধান কেনার কথা জানিয়েছেন। সরাইল উপজেলার ব্যবসায়ী বিল্লাল জানান, কৃষকদের কাছ থেকে বিআর-২৮ ধান ৯০০ টাকা মণ এবং বিআর-২৯ ধান কিনেছি ৮০০ টাকায়। এর সঙ্গে আরও খরচ আছে। মোকামে এনে বিআর-২৮ ৮০০ ও বিআর-২৯ বিক্রি করতে হয়েছে ৭৬০ টাকায়। ১ হাজার মণ ধান বিক্রি করলে ৫০ হাজার টাকা লোকসান হবে। আরেক ধান ব্যবসায়ী ও চাতালকল মালিক শাকিল আহমেদ জানান, ধানের বাজারের সঙ্গে চালের বাজারের মিল নেই। মোকাম থেকে ধান কেনার পর পরিবহন এবং প্রক্রিয়াজাতকরণের জন্য একজন চাতালকল মালিকের যে টাকা খরচ হয়, সে অনুযায়ী চালের দাম পাওয়া যায় না। আশুগঞ্জ উপজেলা চাতালকল মালিক সমিতির সভাপতি জোবায়ের হায়দার বুলু বলেন, দুই সপ্তাহ আগেও ধানের দাম ভালো ছিল। ধানের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে চালের দাম না বাড়ায় ধানের দাম এখন নিম্নমুখী।

সর্বশেষ খবর