বুধবার, ১১ ডিসেম্বর, ২০১৯ ০০:০০ টা

গণহত্যার স্মৃতিচিহ্ন বেলতলি বধ্যভূমি

লাকসাম (কুমিল্লা) প্রতিনিধি

গণহত্যার স্মৃতিচিহ্ন বেলতলি বধ্যভূমি

মহান মুক্তিযুদ্ধে নির্মম গণহত্যার স্মৃতি নিয়ে কালের সাক্ষী হয়ে আছে লাকসাম বেলতলি বধ্যভূমি। হানাদার বাহিনী ১০ হাজারেরও বেশি নিরীহ মানুষকে হত্যা করে এখানে মাটিচাপা দেয়। সূত্রে জানা যায়, স্বাধীনতাযুদ্ধে বৃহত্তর লাকসামের গৌরবময় ইতিহাস রয়েছে। মুক্তিযুদ্ধকালীন কুমিল্লা সেনানিবাস থেকে লালমাই-সোনাইমুড়ী সড়কে আধিপত্য বিস্তার এবং নদীবন্দর চাঁদপুরের ওপর কর্তৃত্ব স্থাপন করতে পাকিস্তান বাহিনীকে স্থলপথে লাকসামে অবস্থানের বিষয়টি নিশ্চিত করতে হয়েছিল। ব্রিটিশ আমল থেকে লাকসাম রেলওয়ে জংশনটি সুপরিচিত। তখন ট্রেনে এসে বিভিন্ন এলাকার যাত্রীরা লাকসাম জংশন নামত। হানাদার বাহিনী পুরুষ ও নারী যাত্রীদের ধরে নিয়ে হত্যা করে এই বধ্যভূমিতে মাটিচাপা দিত। মুক্তিযোদ্ধাদের স্মৃতির প্রতি সম্মান জানিয়ে লাকসাম বেলতলি বধ্যভূমিতে একটি স্মৃতিসৌধ নির্মাণ করা হলেও রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে এটি অবহেলিত। আশার কথা, এ বধ্যভূমি সংরক্ষণের উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে মুক্তিযোদ্ধা মন্ত্রণালয় থেকে জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে লাকসামের ইউএওকে প্রতিবেদন তৈরি করে পাঠাতে বলা হয়েছে। লাকসাম উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার আবদুল বারী মজুমদার বলেন, ‘বেলতলি বধ্যভূমি স্বাধীনতাযুদ্ধের গুরুত্বপূর্ণ স্মৃতিচিহ্ন। এখানে দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে আসা সাধারণ মানুষসহ ট্রেনযাত্রীদের হানাদারবাহিনী নির্বিচারে গুলি করে হত্যা শেষে মাটিচাপা দিয়েছে। এখানে ১০ হাজারের বেশি মানুষকে মাটিচাপা দেওয়া হয়েছে।’ লাকসামের ইউএনও এ কে এম সাইফুল আলম বলেন, সরকার বেলতলি বধ্যভূমি সংরক্ষণের উদ্যোগ নিয়েছে। নির্দেশনা মোতাবেক আমরা প্রতিবেদন তৈরির কাজ করছি।’ বধ্যভূমির গেট নির্মাণসহ সংরক্ষণে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নেওয়া হবে বলে তিনি প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন।

সর্বশেষ খবর