শরীয়তপুরে বন্ধ হচ্ছে না অবৈধ ইটভাটার কার্যক্রম। কোনো ধরনের বৈধতা ছাড়াই দিনের পর দিন চলছে বেশকটি ভাটা। সম্প্রতি অনুমোদনহীন আটটি ইটভাটায় ভ্রাম্যমাণ আদালত অভিযান চালায়। এরপর আবার ওই সব ভাটার কার্যক্রম শুরু হচ্ছে স্থানীয়দের মধ্যে নানা প্রশ্ন জন্ম নিয়েছে। জেলা প্রশাসকের কার্যালয় সূত্র জানায়, দীর্ঘদিন ধরে জাজিরা উপজেলায় যমুনা ব্রিক্স, কীর্তিনাশা ব্রিক্স, জেআইবি ব্রিকস, ডামুড্যা উপজেলায় হাওলাদার ব্রিকস, ভেদরগঞ্জের আরবিএম ব্রিক ফিল্ড, নিউ বিসমিল্লাহ ব্রিকস, নড়িয়ার ঢালী ব্রিক ফিল্ড ও সদর উপজেলার মদিনা ব্রিক্স অবৈধভাবে ইট তৈরি ও বিক্রি করছিল। সম্প্রতি উচ্চ আদালত ও মন্ত্রী পরিষদ বিভাগের নির্দেশে জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটরা এ সব ভাটায় অভিযান চালায়। অভিযানে ভাটাগুলোকে অর্থদ-সহ কিছু অংশ ভেঙে দেওয়া হয়। একই সঙ্গে প্রশাসন এ সব ভাটার কার্যক্রম বন্ধ রাখতে নির্দেশ দেয়। এ নির্দেশ উপেক্ষা করে অভিযানের পরই ইটভাটাগুলোতে আবারও পুরোদমে কার্যক্রম শুরু হয়েছে। সরেজমিনে দেখা যায়, কোনো কোনো ভাটার ভাঙা অংশ মেরামতের কাজ চলছে। আবার যে ভাটা ভাঙা হয়নি কিন্ত বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছিল ভ্রাম্যমাণ আদালত-সেগুলোতে পুরোদমে ইট বানানো ও পোড়ানোর কাজ চলছে। কীর্তিনাশা ইটভাটার শ্রমিক তানভীর, হেলাল, খোকন জানায়, প্রশাসনের লোক আসছিল। কাগজপত্রে কি যেন সমস্যা ছিল। তারা দেখে গেছে। পরে সেগুলো ঠিক হয়ে গেছে। মদিনা ব্রিকসের শ্রমিকরা জানান, ম্যাজিস্ট্রেট এসে জিকঝাক চুল্লির অনেকখানি ভেঙে দিয়েছে। এখন মেরামত করতেছি। ঢালী ব্রিকসের এক পরিচালক জানান, আমরা পরিবেশ অধিদফতরে ছাড়পত্রের জন্য চার মাস আগে আবেদন করেছি। পরিবেশ অধিদফতর ছাড়পত্র ইস্যু করেনি। আমাদের টাকা জমার রশিদও রয়েছে। হঠাৎ প্রশাসন যে কাজ করেছে এটা আমাদের উপর জুলুম। আমরা চেষ্টা করছি অল্প সময়ের মধ্যে কাগজপত্র হাতে পাওয়ার।  যদি ভাটাটা বন্ধ করে দেই তাহলে আমাদের পথে বসা ছাড়া উপায় থাকবে না। শরীয়তপুর জেলা প্রশাসক আবু তাহের বলেন, উচ্চ আদালত ও মন্ত্রী পরিষদ বিভাগের নির্দেশে অবৈধ ইটভাটার বিরুদ্ধে অভিযান চালানো হয়েছে। যদি কেউ আইন অমান্য করে তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।