শনিবার, ২১ ডিসেম্বর, ২০১৯ ০০:০০ টা

দাদনে নিঃস্ব সাধারণ মানুষ চক্রবৃদ্ধি হারে বাড়ে সুদ

সময়মতো ঋণ শোধে ব্যর্থ হয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন অনেকে

ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি

দাদন ব্যবসায়ীদের বেড়াজালে বন্দী হয়ে দিশাহারা হয়ে পড়েছেন ঠাকুরগাঁওয়ের সাধারণ মানুষ। সব হিারিয়ে নি:স্ব হচ্ছেন অনেকে। চক্রবৃদ্ধি হারে সুদ পরিশোধে ব্যর্থ হয়ে কেউ কেউ ঘরবাড়ি ছেড়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন। ঠাকুরগাঁওয়ের বিভিন্ন উপজেলা ও পৌর শহরের প্রত্যন্ত গ্রামের কিছু লোক অবৈধভাবে পুঁজি বানিয়ে দাদন ব্যবসা শুরু করেছেন। অনেকে এনজিও ও সমিতি থেকে স্বল্প সুদে ঋণ নিয়ে অসহায় মানুষের কাছে তা বেশি লাভে দাদন দিচ্ছেন। এক হাজার টাকা নিলে প্রতিমাসে দাদন ব্যবসায়ীকে সুদ দিতে হয় ৩০০ টাকা। কেউ আবার জমি, বসতবাড়ি, আসবাবপত্র বন্ধক রেখে দাদনের টাকা নিচ্ছেন। জানা যায়, দাদন ব্যবসায়ীরা অসহায় মানুষদের বন্ধকী জিনিসপত্র রেখে তাদের বাড়িতে রেখে দেন। এক সময় দাদনের টাকা সুদে আসলে কয়েকগুণ হলে তারা নির্দিষ্ট সময়ে সুদসহ টাকা ফেরত দিতে না পারার অজুহাতে সে সব জিনিস আর ফেরত দেন না। এলাকাবাসী জানান, সুদের ব্যবসা এখানে ভয়াবহ আকারে ছড়িয়ে পড়েছে। এ অবস্থা থেকে পরিত্রাণের জন্য গণ্যমান্য ব্যক্তিসহ থানা পুলিশেরও এগিয়ে আসা উচিৎ।  অভিযোগ আছে, গ্রামাঞ্চলের কিছু উঠতি যুবক পেশা হিসেবে দাদন ব্যবসা বেছে নিয়েছে। তারা এনজিও থেকে ঋণ নিয়ে তা দাদন ব্যবসায় খাটাচ্ছেন। মোটরসাইকেল, সোনার গহনা হাতানোর প্রবণতা বেড়েছে দাদন ব্যবসায়ীদের। টাকা ফেরত দিতে দেরি হলেই মূল্যবান জিনিসপত্র তাদের হয়ে যাচ্ছে। দাদন ব্যবসায়ীরা টাকা দেওয়ার সময় জমির দলিল, ব্যাংকের ফাঁকা চেক ও সাদা স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর নেন। যখন কেউ টাকা ফেরত দিতে পারে না তখন চেক ও স্ট্যাম্পে ইচ্ছামত টাকা বসিয়ে পাওনাদারের কাছে দাবি করে। তাদের জালে বন্দী হয়ে জমি, ঘরবাড়ি সব হারিয়ে পথে বসেছেন অনেকে।

দাদনগ্রহীতারা আসল টাকার সুদ দিতে দিতে চক্রবৃদ্ধি হারে দ্বিগুণ টাকা দিচ্ছেন। এরপরও পাওনা রয়ে যাচ্ছে।

সর্বশেষ খবর