শনিবার, ২১ ডিসেম্বর, ২০১৯ ০০:০০ টা

রায়পুরে সুপারির গন্ধে দূষিত হচ্ছে পরিবেশ

রায়পুর (লক্ষ্মীপুর) প্রতিনিধি

লক্ষ্মীপুরের রায়পুর উপজেলায় নিয়ম-নীতির তোয়াক্কা না করে পুকুর ও উন্মুক্ত জলাশয়গুলোতে ভেজানো হচ্ছে সুপারি, মেশানো হচ্ছে ক্ষতিকর কেমিক্যাল। নেই স্থানীয় প্রশাসনের বিন্দুমাত্র তদারকি। এতে হুমকির মুখে পড়ছে জনস্বাস্থ্য, দূষিত হচ্ছে পানি। ভেজা সুপারির দুর্গন্ধে ব্যাপকভাবে দূষণ হচ্ছে পরিবেশ, ধ্বংস হচ্ছে জলজ প্রাণী। এসব সুপারি থেকে মরণব্যাধি ক্যান্সারসহ জনস্বাস্থ্য হুমকির মুখে রয়েছে বলে জানান চিকিৎসক। উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্যমতে, উপজেলার অন্যতম প্রধান অর্থকরী ফসল সুপারি। দেশের উৎপাদিত সুপারির বেশির ভাগই উৎপাদন হয় এখানে। এ বছর সুপারির বাম্পার ফলন হয়েছে। যার বাজার মূল্য প্রায় ১৫০ কোটি টাকা। এখনাকার উৎপাদিত সুপারির বেশির ভাগই বিভিন্ন জেলায় বিক্রি করা হয়। জানা যায়, সুপারি পাকা হাউজে ভেজানোর নিয়ম থাকলেও বেশি লাভের আশায় তা মানছেন না কেউ। এদিকে বিভিন্ন এলাকায় সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে সুপারির পাকা রং ধরে রাখতে ভেজা সুপারিতে মেশানো হচ্ছে বিষাক্ত রং। ফলে ক্যান্সারসহ মানব দেহে বাড়ছে বিভিন্ন রোগের ঝুঁকিও।উপজেলার মোল্লারহাট, নয়ারহাট, সুনামগঞ্জ বাজার, রায়পুর বাজার, মিতালী বাজার, খাসেরহাট, চরলক্ষ্মী, চরবংশী, উদমারা, ক্যাম্পেরহাট, ঝাউডগী, চরআবাবিল, জালিয়ারচর, হায়দরগঞ্জ বাজারসহ বিভিন্ন এলাকায় পুকুর-ডোবা-নালায় পচানো হচ্ছে সুপারি। চলতি বছর সুপারির ব্যবসার সঙ্গে জড়িত রয়েছেন অন্তত দুই শতাধিক ব্যবসায়ী।

উন্মুক্ত জলাশয়ে সুপারি ভেজানোর ফলে পানি ব্যবহারের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে।

রায়পুর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মো. জাকির হোসেন জানান, সুপারির রং পরিবর্তন বা সুপারি সুস্বাদু করার জন্য যেসব রং বা ক্যামিকেল দেওয়া হচ্ছে তাতে মানবদেহে বিভিন্ন রোগবালাইসহ ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি রয়েছে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাবরীন চৌধুরী বলেন, সুপারির রং পরিবর্তন এবং ক্যামিকেল মিশিয়ে পরিবেশ দূষণ করলে তাদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

সর্বশেষ খবর